সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদ শিরোনাম ::

‘এবার সমতলে সাম্মাম চাষ’ কম খরচে বেশি লাভের আশা কৃষকের

শেরপুর প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০১:০২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

মরুভূমির ফল ‘সাম্মাম’ এখন শেরপুরের পাহাড়ি মাটির পাশাপাশি সমতল অঞ্চলেও চাষ হচ্ছে। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় কৃষকরা কম খরচে বেশি লাভের আশা করছেন। এর মধ্যে কৃষি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, এবং গ্রামের অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কৃষি বিভাগও সাম্মাম চাষে আগ্রহীদের সহযোগিতা প্রদান করছে।

কৃষি উদ্যোক্তা শহিদুল ইসলাম, যিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি সবজি চাষ করেন, ইউটিউবে সাম্মাম সম্পর্কে জানতে পেরে রাজধানী থেকে বীজ সংগ্রহ করে ২৫ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেন। মাত্র এক মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে এবং দেড় মাসের মধ্যে ফলও ধরা শুরু করে। তিন মাসের মধ্যে অল্প খরচে ভালো লাভের আশা করছেন তিনি।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, তারা জানতেন না যে, দেশে সাম্মাম চাষ হয়। তবে এখন শুনেছেন, এটি সুস্বাদু, মিষ্টি ও রসালো, এবং অল্প সময়েই অনেক ফল দেয়। বাজারে এর চাহিদা ভালো, তাই তারা এই চাষে আগ্রহী।

কৃষি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জানান, তারা মরু অঞ্চলের এই ফলটির চাষে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, এবং তারা এর সুফল পাবেন বলে মনে করছেন।

কৃষি কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, পরীক্ষামূলকভাবে সফলতা এসেছে এবং বাগান পরিচর্যায় সহযোগিতা করা হচ্ছে। আশেপাশের অনেক কৃষকও এখন সাম্মাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

সাম্মাম, যা বিদেশে ‘রকমেলন’ বা ‘হানিডিউ মেলন’ হিসেবে পরিচিত, বাংলাদেশে কম চাষ হয়। তবে বর্তমানে এর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে এবং কৃষকরা এর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘এবার সমতলে সাম্মাম চাষ’ কম খরচে বেশি লাভের আশা কৃষকের

আপডেট সময় : ০১:০২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মরুভূমির ফল ‘সাম্মাম’ এখন শেরপুরের পাহাড়ি মাটির পাশাপাশি সমতল অঞ্চলেও চাষ হচ্ছে। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় কৃষকরা কম খরচে বেশি লাভের আশা করছেন। এর মধ্যে কৃষি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, এবং গ্রামের অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কৃষি বিভাগও সাম্মাম চাষে আগ্রহীদের সহযোগিতা প্রদান করছে।

কৃষি উদ্যোক্তা শহিদুল ইসলাম, যিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি সবজি চাষ করেন, ইউটিউবে সাম্মাম সম্পর্কে জানতে পেরে রাজধানী থেকে বীজ সংগ্রহ করে ২৫ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেন। মাত্র এক মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে এবং দেড় মাসের মধ্যে ফলও ধরা শুরু করে। তিন মাসের মধ্যে অল্প খরচে ভালো লাভের আশা করছেন তিনি।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, তারা জানতেন না যে, দেশে সাম্মাম চাষ হয়। তবে এখন শুনেছেন, এটি সুস্বাদু, মিষ্টি ও রসালো, এবং অল্প সময়েই অনেক ফল দেয়। বাজারে এর চাহিদা ভালো, তাই তারা এই চাষে আগ্রহী।

কৃষি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জানান, তারা মরু অঞ্চলের এই ফলটির চাষে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, এবং তারা এর সুফল পাবেন বলে মনে করছেন।

কৃষি কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, পরীক্ষামূলকভাবে সফলতা এসেছে এবং বাগান পরিচর্যায় সহযোগিতা করা হচ্ছে। আশেপাশের অনেক কৃষকও এখন সাম্মাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

সাম্মাম, যা বিদেশে ‘রকমেলন’ বা ‘হানিডিউ মেলন’ হিসেবে পরিচিত, বাংলাদেশে কম চাষ হয়। তবে বর্তমানে এর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে এবং কৃষকরা এর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।