ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া আড়াই ঘন্টা ফেরি বন্ধের পর চালু
- আপডেট সময় : ০৫:১৭:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১ ১৮৩ বার পড়া হয়েছে
ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া নৌপথে বুধবার সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারনে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে দুর্ভোগে পরেছে। এদিকে কুয়াশার কারনে মাঝনদীতে আটকা ছিলো দুটি ফেরি। এছাড়া পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ফেরি পারের অপেক্ষায় অর্ধশতাধিক শতাধিক যাত্রীবাহী বাস, দেড় শতাধিক ব্যক্তিগত বিভিন্ন গাড়ি এবং পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করর্পোরেশন (বিআডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের অববাহিকায় পদ্মা নদী কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে গেলে বুধবার সকাল ছয়টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পথ হারিয়ে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে আসা খান জাহান আলী ও হাসনা হেনা নামের দুটি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে মাঝপদ্মায় নোঙর করতে বাধ্য হয়। এদিকে পাটুরিয়া প্রান্তে আটটি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে ছয়টি ফেরি অবস্থান করছে।
পারাপার বন্ধ থাকায় ঘাটে আসা যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত বিভিন্ন গাড়ি ও পণ্যবাহী গাড়ি পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় আটকা পড়ে। এসব যাত্রীবাহী বাস পাটুরিয়া-উথলী সংযোগ সড়কে নদী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ব্যক্তিগত বিভিন্ন গাড়ি পাটুরিয়ার পাঁচ নম্বর ঘাট থেকে আরসিএল মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ সারিতে আটকা পড়েছে। এ ছাড়া পণ্যবাহী গাড়িগুলো পাটুরিয়ায় টার্মিনাল, পাটুরিয়া-উথলী সড়ক ও উথলী মোড় এলাকায় সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে।
কুয়াশায় পারাপার বন্ধ থাকায় শীতের মধ্যে তাঁরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের দুর্ভোগ বেশি।
ঘাট এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক যুবায়েদ হোসেন বলেন, ফেরি বন্ধ থাকায় যানবাহনের চাপ বাড়ছে। সকাল সাড়ে আটটার পর কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। তিনি আরো জানান, সকাল সাড়ে নয়টা পরবযন্ত অর্ধ শতাধিক বাস, দেড় শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি পাটুরিয়া প্রান্তে আটকা পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে আজ সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। তিনি জানান, যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো আগে পারাপার হওয়ার সুযোগ পাবে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমে আসবে।