সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোগান্তি আর দুর্ভোগের অপর নাম গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট।
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০৫:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত তম ঘাট যা ২১ জেলার প্রবেশপথ হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট। এই প্রবেশপথ হিসেবে পরিচিত এই ঘাট এখন দুর্ভোগ আর ভোগান্তির অপর নাম। এই ঘাটে কোন না কোন কারনে প্রতিদিন লেগেই থাকছে যানবাহনে দীর্ঘ সারি। প্রতিবছর শীতের সময়ে অন্যান্য সময়ের থেকে বেশি ভোগান্তি সৃষ্টি হয় এ সময় প্রায়ই ঘন কুয়াশার জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে আর এতে করে তৈরি হয় যানজটের।
সরজমিন বুধবার (২৪ নভেম্বর) ঘাট এলাকায় ঘুরে দেখা যায় দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট হতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফিড মিল পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। অন্যদিকে সকাল ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিলো আর এতে করে দৌলতদিয়া প্রান্তে অপেক্ষমাণ যানবাহন দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়।
বেনাপল থেকে আগত কার্ভাড ভ্যান চালক সাজ্জাদ হোসেন পদ্মাবুলেটিন কে বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার কতে কোন ট্রিপ নিলেই আমরা এই ভোগান্তির কথা মাথায় রাখি, কারন আমরা জানি এই নৌরুটের দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে আমাদের ২ থেকে ৩দিন অপেক্ষা করতে হবে। গতকাল দুপুরে ঘাটে এসেছি আজ ও ফেরির নাগাল পাবো কিনা জানা নাই।
খুলনা থেকে আসা পন্যবাহী ট্রাক চালক জাহাঙ্গীর আলম পদ্মাবুলেটিনকে বলেন, দুই দিন সিরিয়ালে থাকার পর ঘাটের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত আসতে পেরেছি, এই পর্যন্ত আসতে গিয়ে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। ঘাট এলাকায় খাবারের ব্যবস্থা থাকলেও ঘাটের বাইরে খাবারের হোটেল নাই।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোঃ শিহাব উদ্দিন বলেন ভোরের দিকে মাঝ নদীতে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হলে কিছু সময় দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিলো যা বেলা বাড়লে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়, যানজটের বিষয় তিনি বলেন ফেরি সল্পতা থাকলেও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি গুলোতে ভারী যানবাহন পারাপার না করানোর ফলে তার অনেকটা প্রভাব এই দৌলতদিয়ায় এসে পড়ছে। ২০ টি ফেরি মধ্যে ১৬ টি ফেরি বর্তমানে সচল রয়েছে।