মানিকগঞ্জে কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় ভোগগ্রহণ সাময়িক স্থগিত, স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মারধর
- আপডেট সময় : ০৬:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের পালড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে রোববার দুপুরে ভোটকেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার সময় চেষ্টা করা হলে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে পালড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আধা ঘণ্টা ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকে। এ ছাড়া নবগ্রাম ইউপিতে নৌকা প্রতীকের এজেন্টারা জাল ভোট দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাধা দিলে তাঁকে মারধর করা হয়।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার সকাল আটটা থেকে জেলার ১০টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বেলা ১১ টার দিকে বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের পালড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ নাছির উদ্দিনের ৩০-৩৫ জন কর্মী কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আজমত আলীর (আনারস) কর্মী-সমর্থকেরা এতে বাধা দেওয়া বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা কেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন। পরে পরিস্থতি স্বাভাবিক হলে বেলা ১২ টা থেকে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে সরেজমিনে কেন্দ্রে দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটাররা এবং কেন্দ্রের ভেতরে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বেলা ১২টার দিকে পূণরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আজমত আলী বলেন, নৌকা প্রতীকের কর্মীরা কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে পরিস্থিত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাসির উদ্দিন বলেন, কে বা কারা কেন্দ্রে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন তা তাঁর জানা নেই।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বহিরাগত বেশ কয়েকজন যুবক কেন্দ্রের ভেতর এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এরপর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় প্রায় আধাঘণ্টা ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।