সালথায় বিভাগদী শহীদস্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

- আপডেট সময় : ০৩:০১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
জমজমাট আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফরিদপুরের সালথা উপজেলাধীন বিভাগদী শহীদস্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে কলেজ মাঠে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন ও বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়।
প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তারিকুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অকো-টেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নূরুল হুদা (রুবেল)।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিভাগদী শহীদস্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আবু রাহাত খান সিরাজ, সাবেক বিদ্যুৎসাহী সদস্য মো. মজিবুল হক, বিভাগদী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি শাহিনুর রহমান, কোন্দারদিয়া ইসলামী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আক্কাস আলী, সাড়ুকদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু জয়ন্ত কুমার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. কামরুল ইসলাম সহ অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি ছিল আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে। শিক্ষার্থীরা নানা ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিটি ইভেন্টে ছিল তুমুল প্রতিযোগিতা, যা অতিথি, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি করে।
দিনব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্বে সভাপতির বক্তব্যে আবু সাঈদ খান বলেন, এদেশের মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকার সম্মান ধরে রাখতে লেখা পড়ার মাধ্যমে আলো ছড়াতে হবে। শিক্ষাকে সংকীর্ণ দলাদলির ঊর্ধে রাখতে হবে। সব এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি ও স্থানীয় প্রণোদনা দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে। দেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে এর বিকল্প নেই।
অকো-টেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান বলেন, নতুন প্রজন্মকে দেশ ও জাতীয় চেতনার সাথে সম্পৃক্ত করতে তাদেরকে পরিপূর্নভাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হতে হবে।
মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, সকল শিক্ষার্থী অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিটি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে, যা শিক্ষাথীদের একটি বড় অর্জন। শুধুমাত্র লেখাপড়ার মাধ্যমে নয়, ক্রীড়া ও সংস্কৃতির মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটানো অত্যন্ত জরুরি। এসব কার্যক্রম তাদের মেধা এবং সৃজনশীলতার বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
সাংস্কৃতিক পর্বে অনুষ্ঠিত হয় নাচ, গান সহ বর্নাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।