মোংলায় আ.লীগ নেতা চিলা ইউপি চেয়ারম্যানের অনুসারীদের হামলার শিকার বিএনপি কর্মী
- আপডেট সময় : ১২:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫ ২১৮ বার পড়া হয়েছে
মোংলার চিলা ইউনিয়নে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আকবর গাজীর অনুসারীদের হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন বিএনপি কর্মী ও মৎস্য ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহীম বয়াতি। পাওনা টাকা আদায়ের অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
মোংলার চিলা ইউনিয়নে রাজনৈতিক বিরোধ ও পাওনা টাকা আদায়ের জেরে মৎস্য ব্যবসায়ী ও বিএনপি কর্মী মো. ইব্রাহীম বয়াতির (৫০) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বৈদ্যমারী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে মোংলা প্রেস ক্লাবে স্ত্রীসহ উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইব্রাহীম বয়াতি লিখিত বক্তব্যে জানান, জয়মনি থেকে মোংলার উদ্দেশ্যে রওনা হলে বৈদ্যমারী বাজারে তার গতিরোধ করে আ.লীগ নেতা আকবর গাজীর অনুসারীরা। হামলাকারীদের মধ্যে মনি শেখ, ওসমান খান, মোতাহের খান, তালেব খান, মিরাজুল শেখ, মাহাবুল ফকির, ইমরান ফকিরসহ ১০-১৫ জন ছিলেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ইব্রাহীম অভিযোগ করেন, “তারা আমাকে একটি দোকানে নিয়ে বেদম মারধর করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।”
তিনি আরও জানান, এর আগে ৩ ডিসেম্বর জয়মনির ঘোল বাজারে চেয়ারম্যান আকবর গাজীর সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে প্রথম দফায় হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছিলেন। অভিযোগের পর আবারও তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান আকবর গাজীর অনুসারীরা চিলা ইউনিয়নে জমি ও মাছের ঘের দখল, হামলা-মারধর এবং লুটপাটসহ নানা অপরাধে জড়িত।
এ বিষয়ে মোংলা থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, “প্রথম দফায় হামলার সময় পুলিশ গিয়ে ইব্রাহীমকে উদ্ধার করে। দ্বিতীয় দফায় হামলার বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভুক্তভোগী ইব্রাহীম বয়াতি প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।