১০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাটুরিয়ার বালিয়াটি ইউনিয়নে ভোটযুদ্ধে দুই সহোদ্বর

সাটুরিয়ার বালিয়াটি ইউনিয়নে ভোটযুদ্ধে দুই সহোদ্বর

সাটুরিয়ার একান্নভুক্ত পরিবারে শান্তিতে বসবাস দুই ভাই সোহেল ও মীরানের। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নিজেকে উপযুক্ত মনে করে আগামীকাল দুইজনেই  প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হবেন।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল ২৬ডিসেম্বর। এই নির্বাচনে জেলা বালিয়াটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আনারস আর মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন দুই সহোদর সোহেল ও মীরান। দুই ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেণ নিজস্ব বলয়ের ভোটার আর কর্মীসমর্থক।

দুই ভাই ছাড়াও এখানে রয়েছেন একাধিক প্রার্থী। কে জিতবে আর কে হারবে উপজেলাজুড়ে এমনি নানা আলোচনার খোরাক হয়েছেন দুজনে। প্রয়াত পিতার জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে প্রার্থী হয়েছেন দুইপুত্র  মীর সোহেল চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট মীর আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তাদের বাবা মো.আরশেদ আলী চৌধুরী ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১-পরবর্তী দুঃসময়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন আরশেদ আলী চৌধুরী। জমিদার আমলের ঐতিহাসিক বালিয়াটি ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষ প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুনাম ছিল তার।

চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে সাটুরিয়া উপজেলায় মঙ্গলবার ছিল প্রতীক বরাদ্দের দিন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মীর সোহেল চৌধুরী পেয়েছেন আনারস প্রতীক আর ছোটভাই মীর আনিসুজ্জামান মীরান পেয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীক।

এ ব্যাপারে মীর সোহেল চৌধুরী জানান, বাবার ভালোবাসার মানুষগুলো আমাকে ইউপি চেয়ারম্যান বানাতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন। সেই জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে বাল্যবিয়ে আর মাদকমুক্ত মডেল ইউনিয়ন গড়তে আমি প্রতিজ্ঞা করছি। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা থাকলে ভোটাররাই জনপ্রিয়তার প্রমাণ করবেন।

মুলত ছোট ভাই অ্যাডভোকেট মীর আনিসুজ্জামান চৌধুরী ড্যামি প্রার্থী হিসেবে আছেন! স্থানীয় সুত্র গুলো জানিয়েছে, মূলপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মীর সোহেল চৌধুরী পেয়েছেন আনারস প্রতীক আর নৌকা প্রতিকের রুহুল আমীনের মধ্যে।

উল্লেখ্য এই ইউনিয়নে মোট ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

সাটুরিয়ার বালিয়াটি ইউনিয়নে ভোটযুদ্ধে দুই সহোদ্বর

Update Time : ০৬:০৩:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১

সাটুরিয়ার একান্নভুক্ত পরিবারে শান্তিতে বসবাস দুই ভাই সোহেল ও মীরানের। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নিজেকে উপযুক্ত মনে করে আগামীকাল দুইজনেই  প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হবেন।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল ২৬ডিসেম্বর। এই নির্বাচনে জেলা বালিয়াটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আনারস আর মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন দুই সহোদর সোহেল ও মীরান। দুই ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেণ নিজস্ব বলয়ের ভোটার আর কর্মীসমর্থক।

দুই ভাই ছাড়াও এখানে রয়েছেন একাধিক প্রার্থী। কে জিতবে আর কে হারবে উপজেলাজুড়ে এমনি নানা আলোচনার খোরাক হয়েছেন দুজনে। প্রয়াত পিতার জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে প্রার্থী হয়েছেন দুইপুত্র  মীর সোহেল চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট মীর আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তাদের বাবা মো.আরশেদ আলী চৌধুরী ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১-পরবর্তী দুঃসময়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন আরশেদ আলী চৌধুরী। জমিদার আমলের ঐতিহাসিক বালিয়াটি ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষ প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুনাম ছিল তার।

চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে সাটুরিয়া উপজেলায় মঙ্গলবার ছিল প্রতীক বরাদ্দের দিন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মীর সোহেল চৌধুরী পেয়েছেন আনারস প্রতীক আর ছোটভাই মীর আনিসুজ্জামান মীরান পেয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীক।

এ ব্যাপারে মীর সোহেল চৌধুরী জানান, বাবার ভালোবাসার মানুষগুলো আমাকে ইউপি চেয়ারম্যান বানাতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন। সেই জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে বাল্যবিয়ে আর মাদকমুক্ত মডেল ইউনিয়ন গড়তে আমি প্রতিজ্ঞা করছি। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা থাকলে ভোটাররাই জনপ্রিয়তার প্রমাণ করবেন।

মুলত ছোট ভাই অ্যাডভোকেট মীর আনিসুজ্জামান চৌধুরী ড্যামি প্রার্থী হিসেবে আছেন! স্থানীয় সুত্র গুলো জানিয়েছে, মূলপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মীর সোহেল চৌধুরী পেয়েছেন আনারস প্রতীক আর নৌকা প্রতিকের রুহুল আমীনের মধ্যে।

উল্লেখ্য এই ইউনিয়নে মোট ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।