মোংলা পোর্ট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড সেলাইওয়ালা কলোনী এলাকায় সন্ত্রাসীর মারধরের হাত থেকে মাকে রক্ষা করতে গিয়ে এক স্কুল ছাত্রী শ্লিলতাহানীর শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’এ ভর্তি করা হলে অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে গতকাল মোংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তার মা জাহানুর বেগম। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
থানার অভিযোগ সুত্রে ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, মোংলা পৌরসভার বিএলএস রোড সংলগ্ন সেলাইওয়া কলোনীর বাসিন্দা জাহানুর বেগম ও সেকেন্দার শেখ তার ছেলে মেয়ে নিয়ে বন্দর কতৃপক্ষের জায়গায় ঘর তৈরী করে বসবাস করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে এই অসহায় দম্পত্তির জায়গাটুকু দখলে নেয়ার পায়তারা করে আসছে সাবেক ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিদ খলিফার ছেলে শামিম খলিফা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন। গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দিন মজুর সেকেন্দার আলী শেখের বাসায় হামলা করে শামিম ও তার অনুসারীরা। বন্দরের জায়গায় তৈরী করা বসত ঘর দখল নেওয়ার উদ্দেশ্যে বে-আইনীভাবে ঘেরা বেড়া দিয়ে দখলে নেয়ার চেষ্টা করে তারা। এতে তাদের কাজে বাধা দিলে শামিম ও তার লোকজন এলোপাতারী মারপিট শুরু করে জাহানুর বেগমকে। এ সময় মাকে বাচাতে গেলে সেকেন্দারের স্কুল পড়ুয়া কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস (১৬)কে তুলে নিয়ে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে শামিম ও তার লোকজন। আহত অবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাতে অবস্থা অবনতি দেখে পরের দিন সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে বলে অভিযোগ করেন ওই স্কুল ছাত্রীর মা জাহানুর বেগম। বর্তমানে জান্নাতুল ফেরদৌস মোংলার চালনা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী। আহত স্কুল ছাত্রী জান্নাতুল বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্কুল ছাত্রীর মা জাহানুর বেগম বাদী হয়ে গতকাল দুপুরে মোংলা থানায় দুইজনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারসহ প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চেয়েছেন স্কুল ছাত্রীর মা।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম জানান, ওই এলাকায় মারামারির ঘটনা শোনার সাথে সাথে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং স্কুল ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।