১২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাগুরায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দোকানপাট ও বাড়ীঘর ভাঙচুর

মাগুরায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দোকানপাট ও বাড়ীঘর ভাঙচুর

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় মারধর, দোকানপাট ও বাড়ীঘর ভাঙচুরের অভিযোগে উঠেছে।

মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় নাকোল বাজারে ৪নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বর পদপ্রার্থী রহমান সিকদার এর উপর অতর্কিত হামলা করে প্রতিপক্ষ বিজয়ী মেম্বর গোলাম মোস্তফার সমর্থকরা।

উল্লেখ্য, পরাজিত মেম্বর প্রার্থী রহমান সিকদার বিগত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার পক্ষে নির্বাচন করেন অপরদিকে বিজয়ী মেম্বর প্রার্থী গোলাম মোস্তফা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী হুমাউনুর রশীদ মুহিতের পক্ষে নির্বাচন করেন।

হামলার শিকার রহমান সিকদার বলেন, মঙ্গলবার আনুমানিক ৩টার দিকে নাকোল মাছ বাজারে বাজার করার সময় প্রতিপক্ষ গোলাম মোস্তফার সর্মথকরা অতর্কিত আমার উপর হামলা করে। স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যায় । ক্যাম্প থেকে বের হলে পুনরায় আমার ওপর আক্রমণের চেষ্টা করে প্রতিপক্ষ মেম্বরের লোকজন। এরপর তারা আমাদের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। স্বপন সিকদার, জাহিদ সিকদার, আকাশ ও ইসলামের বাড়িতে তারা তাণ্ডব চালিয়ে ভাঙচুর করে।

রহমান সিকদার আরো বলেন, এ সময় আমার ভাতিজা ইসলামের মিষ্টির দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হুমাউনুর রশীদ মুহিতের সমর্থকরা।

ভাংচুরের শিকার দোকান মালিক ইসলাম বলেন, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হুমাউনু রশিদ মুহিত নিজে উপস্থিত থেকে আনুমানিক প্রায় একশত লোকজন নিয়ে আমার দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করে। এই সময় আমি ও আমার ভাই মিন্টু দৌড়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করি। এই দোকানটি আমার ইনকামের একমাত্র উৎস। আমার দোকানটি একদম ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে এতে আমার ৩-৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি একদম অসহায় হয়ে গেছি প্রশাসনের কাছে আমার আকুতি যাহাতে সুষ্ঠু বিচার পাই।

এবিষয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হুমাউনুর রশীদ মুহিত এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আমি নির্বাচনী প্রচারণায় প্রচুর পরিশ্রম করে নির্বাচনের পরে আমি অসুস্থ ছিলাম। ঘটনার সময় আমি অসুস্থ অবস্থায় বাসায় শুয়ে ছিলাম আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কেউ কেউ প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। মূলত এ ঘটনাটি মেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে। আমাকে এর মধ্যে জড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

শ্রীপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শুকদেব রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমরা ওখান থেকে পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে আসি। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুহিত সাহেব এসে দায়িত্ব নিলে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং দুই পক্ষকে নিয়ে আপোষ মীমাংসা করে দেয়ার শর্তে তাদেরকে আমরা তার (চেয়ারম্যানের ) হেফাজতে হস্তান্তর করি। কেউ এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি বলে কোনো মামলা হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

মাগুরায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দোকানপাট ও বাড়ীঘর ভাঙচুর

Update Time : ০৮:১৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় মারধর, দোকানপাট ও বাড়ীঘর ভাঙচুরের অভিযোগে উঠেছে।

মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় নাকোল বাজারে ৪নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বর পদপ্রার্থী রহমান সিকদার এর উপর অতর্কিত হামলা করে প্রতিপক্ষ বিজয়ী মেম্বর গোলাম মোস্তফার সমর্থকরা।

উল্লেখ্য, পরাজিত মেম্বর প্রার্থী রহমান সিকদার বিগত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার পক্ষে নির্বাচন করেন অপরদিকে বিজয়ী মেম্বর প্রার্থী গোলাম মোস্তফা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী হুমাউনুর রশীদ মুহিতের পক্ষে নির্বাচন করেন।

হামলার শিকার রহমান সিকদার বলেন, মঙ্গলবার আনুমানিক ৩টার দিকে নাকোল মাছ বাজারে বাজার করার সময় প্রতিপক্ষ গোলাম মোস্তফার সর্মথকরা অতর্কিত আমার উপর হামলা করে। স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যায় । ক্যাম্প থেকে বের হলে পুনরায় আমার ওপর আক্রমণের চেষ্টা করে প্রতিপক্ষ মেম্বরের লোকজন। এরপর তারা আমাদের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। স্বপন সিকদার, জাহিদ সিকদার, আকাশ ও ইসলামের বাড়িতে তারা তাণ্ডব চালিয়ে ভাঙচুর করে।

রহমান সিকদার আরো বলেন, এ সময় আমার ভাতিজা ইসলামের মিষ্টির দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হুমাউনুর রশীদ মুহিতের সমর্থকরা।

ভাংচুরের শিকার দোকান মালিক ইসলাম বলেন, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হুমাউনু রশিদ মুহিত নিজে উপস্থিত থেকে আনুমানিক প্রায় একশত লোকজন নিয়ে আমার দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করে। এই সময় আমি ও আমার ভাই মিন্টু দৌড়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করি। এই দোকানটি আমার ইনকামের একমাত্র উৎস। আমার দোকানটি একদম ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে এতে আমার ৩-৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি একদম অসহায় হয়ে গেছি প্রশাসনের কাছে আমার আকুতি যাহাতে সুষ্ঠু বিচার পাই।

এবিষয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হুমাউনুর রশীদ মুহিত এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আমি নির্বাচনী প্রচারণায় প্রচুর পরিশ্রম করে নির্বাচনের পরে আমি অসুস্থ ছিলাম। ঘটনার সময় আমি অসুস্থ অবস্থায় বাসায় শুয়ে ছিলাম আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কেউ কেউ প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। মূলত এ ঘটনাটি মেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে। আমাকে এর মধ্যে জড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

শ্রীপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শুকদেব রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমরা ওখান থেকে পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে আসি। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুহিত সাহেব এসে দায়িত্ব নিলে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং দুই পক্ষকে নিয়ে আপোষ মীমাংসা করে দেয়ার শর্তে তাদেরকে আমরা তার (চেয়ারম্যানের ) হেফাজতে হস্তান্তর করি। কেউ এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি বলে কোনো মামলা হয়নি।