রাজবাড়ীর পাংশায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মো. তালাত মাহমুদ শাহিন নামের এক ইউপি সদস্য প্রার্থীকে গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্য প্রার্থী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অভিযোগ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর আহমেদ হোসেনের কর্মীরা তার উপর এ হামলা চালায়।
সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। জানাযায় গুলিবিদ্ধ শাহিন সরিষা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদন্দ্বীতা করছে। তার নির্বাচনী প্রতীক মোড়গ। মো. তালাত মাহমুদ শাহিন সরিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বহলাডাঙ্গা গ্রামের বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মো. মকিম বিশ্বাসের ছেলে।
গুলিবিদ্ধ শাহিন বলেন, আমার নিজ বাড়ীতে নির্বাচনী ঘরোয়া মিটিং শেষ করে আমার চাচাকে বাড়ী এগিয়ে দিতে যাওয়ার সময় আমাদের বাড়ীর সাথে মসজিদ পর্যন্ত যাই। এমন সময় আমাকে এবং আমার চাচাকে ৮/১০ মিলে ঘিরে ধরে এবং এ সময় বহলাডাঙ্গা গ্রামের মোস্তজার ছেলে রাসেল আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। এমন সময় আমি পালানোর জন্য দৌড় দিলে আমার চোখে কোনা ঘেষে গুলি বেড়িয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাহিনের চাচা বলেন, ফরিদ বন্দুক নিয়ে আমার ভাতিজাকে গুলি করে। এসময় ফরিদের সাথে আজিজুল, ফারুক, সোহেল, রাসেল ও আজিজ সহ ১০জন লোক ছিল। আমার ভাতিজা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার পর ফাকা আরোও দুটি ফায়ার করে চলে যায়। পরে আমার ভাতিজাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তরুণ কুমার পাল বলেন, শাহিন সোমবার রাতে ইনজুরি অবস্থায় হাসপাতালে আসে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করি।
ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আহমেদ হোসেন বরেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমার কর্মীদের উপর মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তার মেম্বার প্রার্থীর মধ্য দ্বন্দ থাকতে পারে।
পাংশা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।