০৭:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ লেকে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ, দূর্ভোগে স্থানীয়রা

বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ লেকে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি-পাংশা সড়কের বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ গেইটের নিকট লেকে ও সড়কের পাশে প্রতিদিনই ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে ময়লা-আবর্জনা স্তুপে পরিনত হয়ে গুরুত্বপুর্ণ সড়কটির উপর চলে আসছে।

উপজেলা পরিষদ গেইট এলাকাটি ব্যাটারী চালিত অটোবাইক স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহৃত হলেও কিছুদিন যাবৎ লেকের পাড়ে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এ ময়লা-আবর্জনার বজ্যের পঁচা উৎকট দুর্গন্ধে পথচারী, অটোবাইক চালক, যাত্রী, ব্যবসায়ীরা পড়েচে চরম দুর্ভোগে। প্রশাসন একাধিকবার ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিলেও ২-১দিন বন্ধ রাখাসহ রাতের অন্ধকারে ফেলে চলে যায়।

বালিয়াকান্দি বাজারের ময়লা-আবর্জনা চন্দনা নদীতে ফেলা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ গেইটের লেকে ফেলা হচ্ছে। সড়কের পাশে হওয়ার কারণে বাজারের অনেক ব্যবসায়ীই সহজেই তার ময়লা ফেলে দিয়ে যান। প্রশাসনের কঠোর হুশিয়ারীতে বেশ কিছুদিন ময়লা ফেলা বন্ধ থাকে। সম্প্রতি বাজারে ময়লা ফেলার পাত্র প্রদান করায় ব্যবসায়ীরা ওই পাত্রে ময়লা ফেলে রাখে। বাজারের পরিছন্নতাকর্মীরা ওই ময়লা ভ্যান গাড়ীতে করে এনে নিয়মিত লেকে ফেলতে শুরু করেছে। ময়লা ফেলার সঠিক ব্যবস্থাপনা ও নির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছে না। বরং ময়লা ফেলার কারণে লেকের বিপরীত পার্শ্বের ব্যবসায়ী ও অটোবাইক চালক, যাত্রী ও পথচারীরা পড়েছে চরম বিপাকে। দুর্গন্ধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, এখানে বাজারের ময়লা-আবর্জনা লেকে যত্রতত্র ভাবে ফেলানো হচ্ছে। তাদের নিষেধ করলেও কোন কাজ হচ্ছে না। এখন রাতের অন্ধকারে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছে। এতে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে ব্যবসা করা দুষ্কর হয়ে দাড়িয়েছে।

কয়েকজন অটো চালক বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট কোন স্ট্যান্ড না থাকার কারণে উপজেলা পরিষদ গেইটের নিকট কিছু জায়গা থাকায় আমরা এখান থেকে যাত্রী পরিবহন করে আসছিলাম। বেশ কিছুদিন ধরে বাজারের ময়লা ফেলে এখন গাড়ী রাখাতো দুরের কথা, দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে চলাচল করা দায় হয়ে দাড়িয়েছে।

ময়লা ফেলতে আসা বাজারে পরিছন্নতাকর্মীদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের বাজারের ইজারাদার ফেলতে বলেছে, তাই ময়লা ফেলছি। নিষেধ করলে আর ফেলবো না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাসিবুল হাসান বলেন, ওই লেকের পাড়ে কোন ময়লা ফেলার অনুমতি নেই। আমি বাজার ইজারাদারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ লেকে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ, দূর্ভোগে স্থানীয়রা

Update Time : ১০:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি-পাংশা সড়কের বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ গেইটের নিকট লেকে ও সড়কের পাশে প্রতিদিনই ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে ময়লা-আবর্জনা স্তুপে পরিনত হয়ে গুরুত্বপুর্ণ সড়কটির উপর চলে আসছে।

উপজেলা পরিষদ গেইট এলাকাটি ব্যাটারী চালিত অটোবাইক স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহৃত হলেও কিছুদিন যাবৎ লেকের পাড়ে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এ ময়লা-আবর্জনার বজ্যের পঁচা উৎকট দুর্গন্ধে পথচারী, অটোবাইক চালক, যাত্রী, ব্যবসায়ীরা পড়েচে চরম দুর্ভোগে। প্রশাসন একাধিকবার ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিলেও ২-১দিন বন্ধ রাখাসহ রাতের অন্ধকারে ফেলে চলে যায়।

বালিয়াকান্দি বাজারের ময়লা-আবর্জনা চন্দনা নদীতে ফেলা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ গেইটের লেকে ফেলা হচ্ছে। সড়কের পাশে হওয়ার কারণে বাজারের অনেক ব্যবসায়ীই সহজেই তার ময়লা ফেলে দিয়ে যান। প্রশাসনের কঠোর হুশিয়ারীতে বেশ কিছুদিন ময়লা ফেলা বন্ধ থাকে। সম্প্রতি বাজারে ময়লা ফেলার পাত্র প্রদান করায় ব্যবসায়ীরা ওই পাত্রে ময়লা ফেলে রাখে। বাজারের পরিছন্নতাকর্মীরা ওই ময়লা ভ্যান গাড়ীতে করে এনে নিয়মিত লেকে ফেলতে শুরু করেছে। ময়লা ফেলার সঠিক ব্যবস্থাপনা ও নির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছে না। বরং ময়লা ফেলার কারণে লেকের বিপরীত পার্শ্বের ব্যবসায়ী ও অটোবাইক চালক, যাত্রী ও পথচারীরা পড়েছে চরম বিপাকে। দুর্গন্ধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, এখানে বাজারের ময়লা-আবর্জনা লেকে যত্রতত্র ভাবে ফেলানো হচ্ছে। তাদের নিষেধ করলেও কোন কাজ হচ্ছে না। এখন রাতের অন্ধকারে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছে। এতে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে ব্যবসা করা দুষ্কর হয়ে দাড়িয়েছে।

কয়েকজন অটো চালক বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট কোন স্ট্যান্ড না থাকার কারণে উপজেলা পরিষদ গেইটের নিকট কিছু জায়গা থাকায় আমরা এখান থেকে যাত্রী পরিবহন করে আসছিলাম। বেশ কিছুদিন ধরে বাজারের ময়লা ফেলে এখন গাড়ী রাখাতো দুরের কথা, দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে চলাচল করা দায় হয়ে দাড়িয়েছে।

ময়লা ফেলতে আসা বাজারে পরিছন্নতাকর্মীদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের বাজারের ইজারাদার ফেলতে বলেছে, তাই ময়লা ফেলছি। নিষেধ করলে আর ফেলবো না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাসিবুল হাসান বলেন, ওই লেকের পাড়ে কোন ময়লা ফেলার অনুমতি নেই। আমি বাজার ইজারাদারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।