০৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে নারী নেত্রী নিখোঁজের ঘটনায় ২মাস পর থানায়  মামলা দায়ের 

গোয়ালন্দে নারী নেত্রী নিখোঁজের ঘটনায় ২মাস পর থানায়  মামলা দায়ের 

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার নারী নেত্রী লিলি বেগমের (৪০) রহস্যজনক নিখোঁজের ঘটনার ২মাস পর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লিলি বেগম দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর নারী ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে কর্মরত বেসরকারি সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতির সহ সভাপতি ও যৌনপল্লীর একজন বাড়ীওয়ালী।
মামলার বাদী লিলি বেগমের জামাতা মুরাদ হোসেন (২৮)। গত ১৪ জানুয়ারি  গোয়ালন্দঘাট থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। যাহার নং-১৮, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/০৩) এর ৭/৩০ দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন লিলি বেগমের কথিত স্বামী লতিফ শেখ (৪৫) তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৪০)ও ছেলে রবিউল শেখ (২৪)সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন। লতিফ শেখ দৌলতদিয়া শামসু মাষ্টার পাড়ার বাসিন্দা ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস মোল্লা জানান, লতিফ শেখ দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। লিলি বেগমের সাথে তার একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে জানি। কিন্তু লিলির নিখোঁজের ঘটনায় তার কিছু জানা নেই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লিলি বেগমের সাথে লতিফ শেখ দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মতো সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছেন। কিন্তু লতিফের স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাদের এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না। লতিফ শেখ গত ১০/১১/২০২১ ইং তারিখ দুপুরে দৌলতদিয়া শামসু মাষ্টার পাড়ার নিজ বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নেয়।সেখানে যাওয়ার পর হতে সে নিখোঁজ রয়েছে। ওইদিন হতে তার মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে।
তাকে উদ্ধারের দাবিতে মুক্তি মহিলা সমিতির উদ্যোগে ইতিমধ্যে যৌনপল্লী এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এছাড়া রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও পরিবারের পক্ষ হতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এ নিয়ে গত ১২ ডিসেম্বর যুগান্তরসহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মুরাদ হোসেন জানান, তারা সম্ভাব্য সকল জায়গায় তার শ্বাশুড়ির খোঁজ করেছেন। কিন্তু এতদিনেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা এ নিয়ে লতিফ শেখের সাথে কথা বলতে গেলে তারা কোন সহযোগিতামূলক কথা বলেনি। উল্টো আমাদের সাথে অসদাচরণ করেছেন। আমার ধারনা লতিফ শেখ অসৎ উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের অন্যান্যদের সহযোগীতায় কৌশলে আমার শ্বাশুড়িকে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছেন ।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, লিলি বেগম নিখোঁজের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা হয়েছে।  আমরা ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

গোয়ালন্দে নারী নেত্রী নিখোঁজের ঘটনায় ২মাস পর থানায়  মামলা দায়ের 

Update Time : ১১:২২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার নারী নেত্রী লিলি বেগমের (৪০) রহস্যজনক নিখোঁজের ঘটনার ২মাস পর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লিলি বেগম দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর নারী ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে কর্মরত বেসরকারি সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতির সহ সভাপতি ও যৌনপল্লীর একজন বাড়ীওয়ালী।
মামলার বাদী লিলি বেগমের জামাতা মুরাদ হোসেন (২৮)। গত ১৪ জানুয়ারি  গোয়ালন্দঘাট থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। যাহার নং-১৮, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/০৩) এর ৭/৩০ দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন লিলি বেগমের কথিত স্বামী লতিফ শেখ (৪৫) তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৪০)ও ছেলে রবিউল শেখ (২৪)সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন। লতিফ শেখ দৌলতদিয়া শামসু মাষ্টার পাড়ার বাসিন্দা ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস মোল্লা জানান, লতিফ শেখ দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। লিলি বেগমের সাথে তার একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে জানি। কিন্তু লিলির নিখোঁজের ঘটনায় তার কিছু জানা নেই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লিলি বেগমের সাথে লতিফ শেখ দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মতো সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছেন। কিন্তু লতিফের স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাদের এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না। লতিফ শেখ গত ১০/১১/২০২১ ইং তারিখ দুপুরে দৌলতদিয়া শামসু মাষ্টার পাড়ার নিজ বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নেয়।সেখানে যাওয়ার পর হতে সে নিখোঁজ রয়েছে। ওইদিন হতে তার মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে।
তাকে উদ্ধারের দাবিতে মুক্তি মহিলা সমিতির উদ্যোগে ইতিমধ্যে যৌনপল্লী এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এছাড়া রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও পরিবারের পক্ষ হতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এ নিয়ে গত ১২ ডিসেম্বর যুগান্তরসহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মুরাদ হোসেন জানান, তারা সম্ভাব্য সকল জায়গায় তার শ্বাশুড়ির খোঁজ করেছেন। কিন্তু এতদিনেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা এ নিয়ে লতিফ শেখের সাথে কথা বলতে গেলে তারা কোন সহযোগিতামূলক কথা বলেনি। উল্টো আমাদের সাথে অসদাচরণ করেছেন। আমার ধারনা লতিফ শেখ অসৎ উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের অন্যান্যদের সহযোগীতায় কৌশলে আমার শ্বাশুড়িকে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছেন ।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, লিলি বেগম নিখোঁজের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা হয়েছে।  আমরা ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছি।