মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজার বিরুদ্ধে শিক্ষক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই শিক্ষকের নাম মওলানা শাহাদাত হোসেন (৫২)। সোমবার রাত ৯টার দিকে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়।
তিনি মাগুরা সদর উপজেলার ছোটজোকা আলীম মাদ্রাসার আরবী বিষয়ের একজন সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ও স্থানীয় জামে মসজিদের ইমাম। আহত অবস্থা ওই শিক্ষক মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আহত শিক্ষক মওলানা শাহাদাত হোসেন জানান, তিনি ছোটজোকা আলীম মাদ্রাসার শিক্ষক ও টিআর সদস্য অথ্যাৎ তিনি পরিচালনা পর্ষদের কমিটি গঠনে একজন ভোটার। সম্প্রতি ছোটজোকা আলীম মাদ্রাসার কমিটি গঠন নিয়ে প্রায়ই তাকে চাপাচাপি করে আসছিলেন ওই এলাকার অর্থ্যাৎ বেরইল পলিতা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা। সর্বশেষ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে তাকে স্থানীয় জামাল খালাসী নামে একজন ফোন করে ঢেকে নিয়ে যায় জামাল খালাসীর বাড়িতে। পরে সেখানে চেয়ারম্যান রাজা মাদ্রাসার সভাপতি পদে তাকে সমর্থনে কাগজে সই দিতে বললে তিনি অপারগতা প্রকাশ করায় চেয়ারম্যান তাকে হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পরে কিলঘুষি মারে। চেয়ারম্যানের সাথে আসা রামদের গাতি গ্রামের মাত্ববর ইছারুল খান লাঠি দিয়ে বাড়ি মারতে গেলে সেটি তিনি ঠেকাতে গেলে তার বাম হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। এঘটনায় তিনি চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা সহ স্থানীয় ইছারুল খান জামাল খালাসি সহ অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের শাস্তি দাবি করেন। এছাড়াও তিনি এই ঘটনায় মামলা করবেন বলেও জানান।
এদিকে শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিন্দা ঝড় উঠেছে শিক্ষক সমাজে। অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি জানান শিক্ষক সমাজ ও এলাকার সচেতন লোকজন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজার সাথে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।