০৪:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানিকগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী হত্যায় গ্রেফতার ৪

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:২০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৭১ Time View

হত্যাকাণ্ডের চার দিনের মাথায় মানিকগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ রানার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হত্যা মামলায় জড়িত এক নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ধর্ষণের পর মুখে চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় ওই পুলিশের স্ত্রীকে।

বিলকিস হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে— আখি মনি লিপি (২০), তার স্বামী মো. কবির হোসেন (৩০), রিয়াজ উদ্দিন (২৬) ও শাকিল হাসান (১৯)।

বুধবার বেলা ১১টায় নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে এই তথ্য জানান মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

এ সময় মামলার তদারকি কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা পিপিএম, সদর থানার ওসি আকবর আলী খান, মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জামিনুর রহমান প্রমুখ।

পুলিশ সুপার জানান, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি করার উদ্দেশ্যে বিলকিসকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জের পশ্চিম দাশড়ার রিজার্ভ ট্যাংক এলাকায় ভাড়াবাড়িতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হাত, পা ও মুখ বেঁধে গলায় গামছা পেঁচিয়ে বিলকিসকে হত্যা করা হয়। টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরির উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে বিলকিসকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি জানান, বিলিকিসের পূর্ব পরিচিত ও বন্ধু লিপি আক্তার (২০) ও তার স্বামী মো. কবির হোসেন (৩০) দুজনেই ছিল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বা পরিকল্পনাকারী। পরিকল্পনা অনুযায়ী লিপি শুক্রবার বিলকিসের বাড়িতে আসেন।

রাত ১০টার দিকে বিলিকিসের ছেলে ও মেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে তার তিন সহযোগীকে বন্ধুর পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢোকায়। আড্ডা দেওয়ার একপর্যায়ে তারা বিলকিসকে ঘুমের ওষুধসহ পানীয় খাওয়ায়।

অজ্ঞান হয়ে গেলে রিয়াজ নামে একজন বিলকিসকে ধর্ষণ করে। এর পর তারা বিলকিসের হাত, পা ও মুখ বেঁধে গলায় গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। রাত ৪টার দিকে চারজনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।

এদিকে হত্যা মামলার তদারকি কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা জানান, হত্যাটি ছিল ক্লুলেস। এদের কাছ থেকে চুরি হওয়া তিনটি মোবাইল ফোন, একটি স্বর্ণের পায়েল, তিনটি স্বর্ণের কানের রিং, একটি স্বর্ণের ব্রেসলেট, একটি স্বর্ণের লকেট, দুটি স্বর্ণের দুল, একটি রুপার নূপুর ও পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান জানান, প্রথমে সাভারের আশুলিয়া থেকে আখিমনি লিপিকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয় বাকি তিনজনকে।

পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় বিলকিসের বাবা মজেম বেপারি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে আটক চারজনই ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছে।

তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

মানিকগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী হত্যায় গ্রেফতার ৪

Update Time : ১২:২০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

হত্যাকাণ্ডের চার দিনের মাথায় মানিকগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ রানার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হত্যা মামলায় জড়িত এক নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ধর্ষণের পর মুখে চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় ওই পুলিশের স্ত্রীকে।

বিলকিস হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে— আখি মনি লিপি (২০), তার স্বামী মো. কবির হোসেন (৩০), রিয়াজ উদ্দিন (২৬) ও শাকিল হাসান (১৯)।

বুধবার বেলা ১১টায় নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে এই তথ্য জানান মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

এ সময় মামলার তদারকি কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা পিপিএম, সদর থানার ওসি আকবর আলী খান, মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জামিনুর রহমান প্রমুখ।

পুলিশ সুপার জানান, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি করার উদ্দেশ্যে বিলকিসকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জের পশ্চিম দাশড়ার রিজার্ভ ট্যাংক এলাকায় ভাড়াবাড়িতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হাত, পা ও মুখ বেঁধে গলায় গামছা পেঁচিয়ে বিলকিসকে হত্যা করা হয়। টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরির উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে বিলকিসকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি জানান, বিলিকিসের পূর্ব পরিচিত ও বন্ধু লিপি আক্তার (২০) ও তার স্বামী মো. কবির হোসেন (৩০) দুজনেই ছিল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বা পরিকল্পনাকারী। পরিকল্পনা অনুযায়ী লিপি শুক্রবার বিলকিসের বাড়িতে আসেন।

রাত ১০টার দিকে বিলিকিসের ছেলে ও মেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে তার তিন সহযোগীকে বন্ধুর পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢোকায়। আড্ডা দেওয়ার একপর্যায়ে তারা বিলকিসকে ঘুমের ওষুধসহ পানীয় খাওয়ায়।

অজ্ঞান হয়ে গেলে রিয়াজ নামে একজন বিলকিসকে ধর্ষণ করে। এর পর তারা বিলকিসের হাত, পা ও মুখ বেঁধে গলায় গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। রাত ৪টার দিকে চারজনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।

এদিকে হত্যা মামলার তদারকি কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা জানান, হত্যাটি ছিল ক্লুলেস। এদের কাছ থেকে চুরি হওয়া তিনটি মোবাইল ফোন, একটি স্বর্ণের পায়েল, তিনটি স্বর্ণের কানের রিং, একটি স্বর্ণের ব্রেসলেট, একটি স্বর্ণের লকেট, দুটি স্বর্ণের দুল, একটি রুপার নূপুর ও পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান জানান, প্রথমে সাভারের আশুলিয়া থেকে আখিমনি লিপিকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয় বাকি তিনজনকে।

পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় বিলকিসের বাবা মজেম বেপারি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে আটক চারজনই ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছে।

তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন