পল্লিকবি জসিম উদ্দিনের সুনাম কুরানো কবিতা “আসমানী” যা স্থান পেয়েছে ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা বইয়ের ৭১ নম্বর পৃষ্ঠায়। এই কবিতার সাথে পরিচিত কোটি কোটি মানুষ। কিন্তুু কেমন আছে সেই আসমানীর পরিবার ও তার পরিবারের সদস্যরা।
আসমানীর পরিবারের সদস্যদের খোজ নিয়ে তাদের বর্তমান সন্ধান অবস্থান বের করেছে বাংলাদেশ পুলিশের হাইওয়ে মাদারীপুর জোনের সদস্যরা। বিশেষ করে করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার উদ্যোগে স্থানীয় শিল্পপতি মামুন গ্রুপের কর্নধার শাহীন শাহাবুদ্দিন মামুন এগিয়ে এসেছেন। পল্লি কবি জসিম উদ্দিনের বহুল পরিচিত কবিতা আসমানী বাড়িতে যেতে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সড়কে বিভিন্ন স্থানে চিন্থিত করে দিয়েছেন তিনি। এতে সহজেই দর্শনার্থীরা যেতে পারছে আসমানীর বাড়িতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, গোয়ালন্দ মোড় থেকে শিবরামপুর বাজারের কিছুটা আগে মামুন গ্রুপের শিল্প প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি আগেই একে বেকে চলে গেছে একটি সরু পাকা সড়ক। আধা কিলোমিটার যাওয়ার পরে হাতে বামে মেঠো পথে পায়ে হেটে খানিকটা সামনেই আসমানীর বাড়ি। আসমানির দুই ছেলে ও ৬ জন মেয়ে। তারা দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত। ছেলেরা কৃষিকাজ করে সংসার চালান। আর মেয়েরা কেউ মামুন গ্রুপের শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
আসমানীর ছেলেদের নাম, রাজ্জাক মন্ডল ও হাকিম উদ্দিন মন্ডল আর মেয়েরা হলেন, আলেয়া বেগম, আলতা বেগম, জোৎসা বেগম, তামশী বেগম, ও জাহেরা বেগম।
আসমানীর চার মেয়ে একেবারেই দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে মামুন গ্রুপ।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই চার কন্যার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে চারটি উন্নত যাতের ছাগল।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ পুলিশের হাইওয়ে বিভাগের মাদারীপুর জোনের পুলিশ সুপার হামিদুল আলম পিপিএম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মামুন গ্রুপের এমডি,শাহীন শাহাবুদ্দিন মামুন, করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, মামুন গ্রুপের এজিএম ফরিদ আহম্মেদ প্রমুখ।
ছাগল বিতরন শেষে মামুন গ্রুপের এমডি,শাহীন শাহাবুদ্দিন মামুন বলেন, মানুষ মানুষের জন্য এই শ্লোগানকে সামনে রেখেই আমি একটু এগিয়ে এসেছি মাত্র। আজকে আমরা ওনাদের চারটি ছাগল উপহার হিসেবে দিলাম। এই ছাগলগুলো উন্নত যাতের তারা যত্ন নিলে একদিন এই ছাগল থেকেই সফল খামারী হতে পারে। আর আসমানীর বাড়িতে আসতে একটি রাস্তা প্রয়োজন সেই ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি আসমানীর পরিবারে কেউ যদি শিক্ষিত ও বেকার থাকে আমি তার কর্মসংস্থান করে দেওয়ার ব্যাবস্থা করবো।
বাংলাদেশ পুলিশের হাইওয়ে বিভাগের মাদারীপুর জোনের পুলিশ সুপার হামিদুল আলম পিপিএম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা এখন মানবিক পুলিশিং করে। আপনারা জানেন সংকটে, দুর্যোগে মানুষের বিপদে পুলিশ আগে ছুটে যায়। আমরা সব সময় মানুষের পাশে থাকতে চাই। পুলিশ সুপার আরো বলেন, দর্শনার্থীরা যাতে সহজেই আসমানীর বাড়িতে আসতে পারে সে জন্য সড়কের মোড়ে মোড়ে তার ছবি বাধানোর ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। তাছারা আমরা আসমানীর পরিবারের সদস্যদের সব সময় খোজ রাখবো, তাদের জন্য কিছুটা হলেও করার চেষ্টা করবো।