০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শালিখায় সাকার বা প্লেকো মাছ বিনষ্ট করতে লিফলেট বিতরণ

মাগুরার শালিখায় সাকার বা প্লেকো মাছ বিনষ্ট করতে লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করা হচ্ছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শারমিন আক্তার এর নেতৃত্বে একটি দল উপজেলার বিভিন্ন মাছ বাজারসহ পথচারীদের হাতে হাতে সাকার ফিস এর বৈশিষ্ট্য ও ক্ষতিকর দিক সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করছেন।

যেখানে উল্লেখ আছে, দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন অববাহিকার মাছের প্রজাতি সাকার বা প্লেকো নামে পরিচিত এবং স্থানীয়ভাবে এ মাছটি সাধারণত চগবগে নামে পরিচিত। সাকার মাছের এ প্রজাতি বর্তমানে অবৈধ অনুপ্রবেশের ফলে উন্মুক্ত জলাশয়ে ও চাষের পুকুরে পাওয়া যাচ্ছে যা উদ্বেগজনক। স্বাদু পানির এ মাছটি অ্যালজি বা জলজ উদ্ভিদ পরিষ্কারক বাহারি হিসেবে সাধারণত অ্যাকুয়ারিয়ামে ব্যবহার করা হয়। এদেশের লোকালয়ে হেলিকপ্টার মাছ নামে পরিচিত।

এছাড়াও মৎস্য অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও জার্নাল এবং অন্যান্য উৎস হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে, বিভিন্ন দেশে উন্মুক্ত ও চাষকৃত জলাশয়ে এ মাছটির বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশবৃদ্ধি ও প্রজজনে ক্ষতি করে, খাদ্য ও বাসস্থানের প্রতিযোগিতা তৈরি হওয়ায় মাছ উৎপাদন ব্যাহত হয় ও চাষে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার পাশাপাশি খাদ্যশৃংখল নষ্ট করে বাস্তুসংস্থান ধ্বংস করাসহ জলাশয়ের উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়। তাছাড়া দ্রুত বংশবৃদ্ধিতে সক্ষম বলে মাছটি জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়লে জলাশয়ের ধ্বংস, দেশীয় প্রজাতির মাছের ডিম ও রেনু ভক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করাসহ নানা বিধ ক্ষতি করে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শারমিন আক্তার সাথে কথা বললে তিনি জানান সাকার মাছটি যাতে কোনোভাবেই উন্মুক্ত ও বদ্ধজলাশয়ে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ, চাষকৃত ও উন্মুক্ত জলাশয়ে পাওয়া গেলে তা জলাশয়ে ছেড়ে না দিয়ে ধ্বংস করা এবং চাষকৃত জলাশয় শুকিয়ে বা পুরোপুরি পানি সেচের মাধ্যমে আহরণ পূর্বক মাটিচাপা দেওয়া কিংবা ডিসপোজালের মাধ্যমে বিনষ্ট করার আহ্বান জানান পাশাপাশি বাজারজাতকরণের নিমিত্তে হ্যাচারিতে প্রজজন বা লালন-পালন বন্ধ করার অনুরোধ জানান তিনি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

শালিখায় সাকার বা প্লেকো মাছ বিনষ্ট করতে লিফলেট বিতরণ

Update Time : ০৬:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মাগুরার শালিখায় সাকার বা প্লেকো মাছ বিনষ্ট করতে লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করা হচ্ছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শারমিন আক্তার এর নেতৃত্বে একটি দল উপজেলার বিভিন্ন মাছ বাজারসহ পথচারীদের হাতে হাতে সাকার ফিস এর বৈশিষ্ট্য ও ক্ষতিকর দিক সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করছেন।

যেখানে উল্লেখ আছে, দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন অববাহিকার মাছের প্রজাতি সাকার বা প্লেকো নামে পরিচিত এবং স্থানীয়ভাবে এ মাছটি সাধারণত চগবগে নামে পরিচিত। সাকার মাছের এ প্রজাতি বর্তমানে অবৈধ অনুপ্রবেশের ফলে উন্মুক্ত জলাশয়ে ও চাষের পুকুরে পাওয়া যাচ্ছে যা উদ্বেগজনক। স্বাদু পানির এ মাছটি অ্যালজি বা জলজ উদ্ভিদ পরিষ্কারক বাহারি হিসেবে সাধারণত অ্যাকুয়ারিয়ামে ব্যবহার করা হয়। এদেশের লোকালয়ে হেলিকপ্টার মাছ নামে পরিচিত।

এছাড়াও মৎস্য অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও জার্নাল এবং অন্যান্য উৎস হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে, বিভিন্ন দেশে উন্মুক্ত ও চাষকৃত জলাশয়ে এ মাছটির বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশবৃদ্ধি ও প্রজজনে ক্ষতি করে, খাদ্য ও বাসস্থানের প্রতিযোগিতা তৈরি হওয়ায় মাছ উৎপাদন ব্যাহত হয় ও চাষে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার পাশাপাশি খাদ্যশৃংখল নষ্ট করে বাস্তুসংস্থান ধ্বংস করাসহ জলাশয়ের উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়। তাছাড়া দ্রুত বংশবৃদ্ধিতে সক্ষম বলে মাছটি জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়লে জলাশয়ের ধ্বংস, দেশীয় প্রজাতির মাছের ডিম ও রেনু ভক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করাসহ নানা বিধ ক্ষতি করে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শারমিন আক্তার সাথে কথা বললে তিনি জানান সাকার মাছটি যাতে কোনোভাবেই উন্মুক্ত ও বদ্ধজলাশয়ে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ, চাষকৃত ও উন্মুক্ত জলাশয়ে পাওয়া গেলে তা জলাশয়ে ছেড়ে না দিয়ে ধ্বংস করা এবং চাষকৃত জলাশয় শুকিয়ে বা পুরোপুরি পানি সেচের মাধ্যমে আহরণ পূর্বক মাটিচাপা দেওয়া কিংবা ডিসপোজালের মাধ্যমে বিনষ্ট করার আহ্বান জানান পাশাপাশি বাজারজাতকরণের নিমিত্তে হ্যাচারিতে প্রজজন বা লালন-পালন বন্ধ করার অনুরোধ জানান তিনি।