১০:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীত উপেক্ষা করে ইজতেমা ময়দানে সবচেয়ে বড় জুমার জামাত অনুষ্ঠিত

শীত উপেক্ষা করে ইজতেমা ময়দানে সবচেয়ে বড় জুমার জামাত অনুষ্ঠিত।

দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা জোবায়ের ইমামতিতে দেশের সর্ববৃহৎ এ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মুফতি জহির ইবনে মুসলিম বলেন, শুক্রবার আজ বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইজতেমা মাঠে চলছে পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে বয়ান। আজ টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা জোবায়েরের ইমামতিতে
দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে বৃহত্তম জুমার এ নামাজে অংশ নিতে তাবলিগের মুসুল্লি ছাড়াও গাজীপুর ও আশপাশের জেলা থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই ইজতমা ময়দানে মুসল্লিরা অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া আজ শুক্রবার অনেক মুসুল্লি ভোর থেকেই টঙ্গীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। জুমার নামাজ শুরুর আগ পর্যন্ত এই জামাতে অংশ নিতে মুসল্লিরা আসতে থাকেন।
পরিবহন সংকটে অনেকেই জুমার নামাজে অংশ নিতে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন। ১৬০ একরের পুরো ইজতেমা ময়দান ছাপিয়ে কামারপাড়া, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশপাশের অলি-গলিতেও জুমার নামাজে অংশ নেবেন মুসুল্লিরা। পরপর দুই বছর ইজতেমা না হওয়ায় এবারের ইজতেমায় সাধারণ মুসুল্লিরাও উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আগেভাগেই অবস্থান নিয়েছেন এবং অধিক সংখ্যক মুসুল্লি উপস্থিত হয়েছে।
প্রায় ১ বর্গকিলোমিটারের বিশাল মাঠটিকে বাঁশের খুঁটির ওপর চটের ছাউনির প্যান্ডেলে মুসুল্লিদের বয়ান শোনার জন্য লাগানো হয়েছে বিশেষ ছাতা-মাইক। লাগানো হয়েছে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতি। দেশীয় তাবলিগের মুসুল্লিদের জন্য জেলা অনুসারে আলাদা ৯১ ভাগে (খিত্তায়) ভাগ করা হয়েছে।
শীত উপেক্ষা করে মঙ্গলবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসুল্লিরা ইজতেমা ময়দানে নির্ধারিত খিত্তায় এসে অবস্থান নিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যার আগেই প্রায় পুরো ময়দান পূর্ণ হয়ে যায়।
বিদেশি মুসল্লিদের জন্য মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে আধুনিক সুবিধা-সম্বলিত আলাদা থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ময়দান এলাকায় থাকছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, পুলিশ, র‌্যাবের কন্ট্রোলরুম।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

শীত উপেক্ষা করে ইজতেমা ময়দানে সবচেয়ে বড় জুমার জামাত অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৯:৪০:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা জোবায়ের ইমামতিতে দেশের সর্ববৃহৎ এ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মুফতি জহির ইবনে মুসলিম বলেন, শুক্রবার আজ বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইজতেমা মাঠে চলছে পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে বয়ান। আজ টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা জোবায়েরের ইমামতিতে
দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে বৃহত্তম জুমার এ নামাজে অংশ নিতে তাবলিগের মুসুল্লি ছাড়াও গাজীপুর ও আশপাশের জেলা থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই ইজতমা ময়দানে মুসল্লিরা অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া আজ শুক্রবার অনেক মুসুল্লি ভোর থেকেই টঙ্গীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। জুমার নামাজ শুরুর আগ পর্যন্ত এই জামাতে অংশ নিতে মুসল্লিরা আসতে থাকেন।
পরিবহন সংকটে অনেকেই জুমার নামাজে অংশ নিতে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন। ১৬০ একরের পুরো ইজতেমা ময়দান ছাপিয়ে কামারপাড়া, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশপাশের অলি-গলিতেও জুমার নামাজে অংশ নেবেন মুসুল্লিরা। পরপর দুই বছর ইজতেমা না হওয়ায় এবারের ইজতেমায় সাধারণ মুসুল্লিরাও উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আগেভাগেই অবস্থান নিয়েছেন এবং অধিক সংখ্যক মুসুল্লি উপস্থিত হয়েছে।
প্রায় ১ বর্গকিলোমিটারের বিশাল মাঠটিকে বাঁশের খুঁটির ওপর চটের ছাউনির প্যান্ডেলে মুসুল্লিদের বয়ান শোনার জন্য লাগানো হয়েছে বিশেষ ছাতা-মাইক। লাগানো হয়েছে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতি। দেশীয় তাবলিগের মুসুল্লিদের জন্য জেলা অনুসারে আলাদা ৯১ ভাগে (খিত্তায়) ভাগ করা হয়েছে।
শীত উপেক্ষা করে মঙ্গলবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসুল্লিরা ইজতেমা ময়দানে নির্ধারিত খিত্তায় এসে অবস্থান নিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যার আগেই প্রায় পুরো ময়দান পূর্ণ হয়ে যায়।
বিদেশি মুসল্লিদের জন্য মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে আধুনিক সুবিধা-সম্বলিত আলাদা থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ময়দান এলাকায় থাকছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, পুলিশ, র‌্যাবের কন্ট্রোলরুম।