০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষক পরিচয়ে সাংবাদিকের টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক চক্র

শিক্ষক পরিচয়ে সাংবাদিকের টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক চক্র।

মাগুরার শালিখায় শিক্ষক ভূয়া পরিচয় দিয়ে বাহারুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিকের নিকট থেকে অভিনব কৌশলে ৭৩ হাজার ৫ শত হাতিয়ে নিয়েছে অনলাইন প্রতারক চক্র। বাহারুল ইসলাম জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার শালিখা উপজেলা প্রতিনিধি ও আড়পাড়া বাজারের মিলন টেলিকম এন্ড কনফেকশনারির স্বত্তাধিকারী।

বাহারুল ইসলাম আজ সোমবার সকালে এই প্রতিবেদককে বলেন, গত ১৪ই জানুয়ারি সকাল ১১ টায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ০১৮৫১৬৫০১২২ নাম্বার থেকে আমাকে ফোন দেয় এবং বলে বাহারুল ভাই, আমি রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলাম, আমি আপনার পরিচিত, এই তো সেদিন আপনি আমার স্কুলে রংয়ের কাজ করে আসলেন পাশাপাশি তাকে বিশ্বাস করার মত আরো কয়েকটি কথাও তিনি আমাকে বলেন। তিনি আরো বলেন, আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ আমি তাকে নিয়ে ঢাকায় এসেছি আমার এখন অনেক টাকার প্রয়োজন। আমার রকেট নাম্বারে টাকা আছে তবে এখানে কোন রকেটের এজেন্ট নাই এই বলে তিনি আমার একটি গ্রামীন নাম্বারে রকেটের অরজিনাল মেসেজ এর মত দুইটি ব্ল্যাংক মেসেজ পাঠায়। পরে আমি সরল বিশ্বাসে তার দেওয়া ০১৮৫১ ৬৫০১২২, ০১৮৩৯-৯৮৭৩৪৬০১৮১৮-৭৩৬৭৯৪ এই নাম্বার গুলোতে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা সেন্ড করি পরে যখন আমার বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করি তখন একাউন্টটা বন্ধ দেখায় পরক্ষণে আমি বিকাশ কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা আমাকে বলে আপনি প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়েছিলেন।

এ ব্যাপারে রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইলাবতি রানী বিশ্বাসের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার স্কুলে রবিউল ইসলাম নামে কোন সহকারী শিক্ষক নাই। এর আগে ১২ই ডিসেম্বর ২০২২ সালে বুনাগাতী কলেজের অধ্যক্ষের ভূয়া পরিচয় দিয়ে আড়পাড়া বাজারের বিকাশের এজেন্ট ও বিশ্বাস ট্রেডার্সের  স্বত্তাধিকারী মোঃ নুর নবী বিশ্বাসের নিকট থেকে একই কৌশল অবলম্বন করে সমপরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেই প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রের একের পর এক অভিনব কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অনেকটা হতবিহম্বল ও অসহায় হয়ে পড়েছেন শালিখা উপজেলার বিভিন্ন বিকাশ এজেন্ট ও জনসাধার।

শালিখা থানা অফিসার ইনচার্জ বিশাল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি শালিখা উপজেলার সকল অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবসায়ীদের কে লেনদেনের ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যাংকিং নীতিমালা অনুসরণ করার অনুরোধ জানান।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

শিক্ষক পরিচয়ে সাংবাদিকের টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক চক্র

Update Time : ০৪:২৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

মাগুরার শালিখায় শিক্ষক ভূয়া পরিচয় দিয়ে বাহারুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিকের নিকট থেকে অভিনব কৌশলে ৭৩ হাজার ৫ শত হাতিয়ে নিয়েছে অনলাইন প্রতারক চক্র। বাহারুল ইসলাম জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার শালিখা উপজেলা প্রতিনিধি ও আড়পাড়া বাজারের মিলন টেলিকম এন্ড কনফেকশনারির স্বত্তাধিকারী।

বাহারুল ইসলাম আজ সোমবার সকালে এই প্রতিবেদককে বলেন, গত ১৪ই জানুয়ারি সকাল ১১ টায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ০১৮৫১৬৫০১২২ নাম্বার থেকে আমাকে ফোন দেয় এবং বলে বাহারুল ভাই, আমি রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলাম, আমি আপনার পরিচিত, এই তো সেদিন আপনি আমার স্কুলে রংয়ের কাজ করে আসলেন পাশাপাশি তাকে বিশ্বাস করার মত আরো কয়েকটি কথাও তিনি আমাকে বলেন। তিনি আরো বলেন, আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ আমি তাকে নিয়ে ঢাকায় এসেছি আমার এখন অনেক টাকার প্রয়োজন। আমার রকেট নাম্বারে টাকা আছে তবে এখানে কোন রকেটের এজেন্ট নাই এই বলে তিনি আমার একটি গ্রামীন নাম্বারে রকেটের অরজিনাল মেসেজ এর মত দুইটি ব্ল্যাংক মেসেজ পাঠায়। পরে আমি সরল বিশ্বাসে তার দেওয়া ০১৮৫১ ৬৫০১২২, ০১৮৩৯-৯৮৭৩৪৬০১৮১৮-৭৩৬৭৯৪ এই নাম্বার গুলোতে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা সেন্ড করি পরে যখন আমার বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করি তখন একাউন্টটা বন্ধ দেখায় পরক্ষণে আমি বিকাশ কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা আমাকে বলে আপনি প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়েছিলেন।

এ ব্যাপারে রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইলাবতি রানী বিশ্বাসের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার স্কুলে রবিউল ইসলাম নামে কোন সহকারী শিক্ষক নাই। এর আগে ১২ই ডিসেম্বর ২০২২ সালে বুনাগাতী কলেজের অধ্যক্ষের ভূয়া পরিচয় দিয়ে আড়পাড়া বাজারের বিকাশের এজেন্ট ও বিশ্বাস ট্রেডার্সের  স্বত্তাধিকারী মোঃ নুর নবী বিশ্বাসের নিকট থেকে একই কৌশল অবলম্বন করে সমপরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেই প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রের একের পর এক অভিনব কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অনেকটা হতবিহম্বল ও অসহায় হয়ে পড়েছেন শালিখা উপজেলার বিভিন্ন বিকাশ এজেন্ট ও জনসাধার।

শালিখা থানা অফিসার ইনচার্জ বিশাল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি শালিখা উপজেলার সকল অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবসায়ীদের কে লেনদেনের ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যাংকিং নীতিমালা অনুসরণ করার অনুরোধ জানান।