০২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে প্রতিমা বিকোচ্ছে কম, হতাশ শিল্পীরা

রাজবাড়ীতে প্রতিমা বিকোচ্ছে কম, হতাশ শিল্পীরা।

সরস্বতী ঠাকুর গড়ে তাই বিপাকে পড়েছেন বলে দাবি রাজবাড়ীর মৃৎশিল্পীরা। পছন্দের স্বরসতী প্রতিমা পাওয়া যাচ্ছে পালপট্টি রাজবাড়ী বাজারে।দেড়শ টাকা থেকে শুরু করে পনেরশ টাকায় এক একটি স্বরসতী প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে।
রাজবাড়ী শহরের প্রধান সড়ক ধরে পালপট্টি  রোডের ধারে পরপর বেশ কয়েকটি ঠাকুর বিক্রির দোকান রয়েছে। সবগুলিতেই এখন সরস্বতী প্রতিমা বিক্রির  শেষ মুহূর্তের  প্রস্তুতি চলছে। একটি দোকানের  কর্মী প্রশান্ত পাল জানান, প্রায় ৭৫টি প্রতিমা গড়া হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৬টির আগাম বায়না মিলেছে। বাকিগুলি বাজারে বিক্রি করতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘এক দিন পরে পুজো। একেবারে বাজার নেই।’’
ভবদিয়া গ্রামের  মৃৎশিল্পী সুজিতকুমার পাল জানান, ৮০টি প্রতিমা গড়েছেন। আগাম বায়না পেয়েছেন মাত্র তিনটির। হাতে আর এক দিন। তিনি বলেন, ‘‘অন্য বার আগেই সব ‘বুক’ হয়ে যায়। এ বার যে কি হবে জানি না!
মনোরঞ্জন  পালেরর  নিজস্ব  কারখানা আছে মৃৎশিল্পী অরুণ পালের। তিনি আবার জানালেন, আগাম বরাত পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু দাম পাচ্ছেন না। নির্মাণ সামগ্রীর দাম গড়ে ১০ শতাংশ হারে বেড়েছে। অথচ বিক্রির সময় ক্রেতারা বাড়তি দাম দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘এ বার লাভের গুড় পিঁপড়ে খাবে মনে হয়।’’
কেন এই পরিস্থিতি? খোঁজ নিয়ে জানা যায় স্কুল পাড়ার, ক্লাবে পুজো করার উৎসাহ অনেক কমেছে।তা ছাড়া আগে পুজায় যে আড়ম্বর ছিলো তা এখন নেই।প্রতিটা পাড়ায় সসাংস্কৃতি উৎসব, নাটক এখন আর চোখে পড়ে না। স্বরসতী স্কুল এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগেই যেটুকু পুজো হচ্ছে। প্রতিমা যা বিক্রি, সেই সৌজন্যেই। কিন্তু সবথেকে বেশি প্রতিমা কিনে থাকে বিভিন্ন ক্লাব। মৃৎশিল্পীরা জানালেন, ক্লাবের পক্ষ থেকে একেবারেই অর্ডার মিলছে না। শেষ দিনে পরিস্থিতি আদৌ বদলাবে, এমন আশা তাঁরা করছেন না।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

রাজবাড়ীতে প্রতিমা বিকোচ্ছে কম, হতাশ শিল্পীরা

Update Time : ০৪:৩১:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
সরস্বতী ঠাকুর গড়ে তাই বিপাকে পড়েছেন বলে দাবি রাজবাড়ীর মৃৎশিল্পীরা। পছন্দের স্বরসতী প্রতিমা পাওয়া যাচ্ছে পালপট্টি রাজবাড়ী বাজারে।দেড়শ টাকা থেকে শুরু করে পনেরশ টাকায় এক একটি স্বরসতী প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে।
রাজবাড়ী শহরের প্রধান সড়ক ধরে পালপট্টি  রোডের ধারে পরপর বেশ কয়েকটি ঠাকুর বিক্রির দোকান রয়েছে। সবগুলিতেই এখন সরস্বতী প্রতিমা বিক্রির  শেষ মুহূর্তের  প্রস্তুতি চলছে। একটি দোকানের  কর্মী প্রশান্ত পাল জানান, প্রায় ৭৫টি প্রতিমা গড়া হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৬টির আগাম বায়না মিলেছে। বাকিগুলি বাজারে বিক্রি করতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘এক দিন পরে পুজো। একেবারে বাজার নেই।’’
ভবদিয়া গ্রামের  মৃৎশিল্পী সুজিতকুমার পাল জানান, ৮০টি প্রতিমা গড়েছেন। আগাম বায়না পেয়েছেন মাত্র তিনটির। হাতে আর এক দিন। তিনি বলেন, ‘‘অন্য বার আগেই সব ‘বুক’ হয়ে যায়। এ বার যে কি হবে জানি না!
মনোরঞ্জন  পালেরর  নিজস্ব  কারখানা আছে মৃৎশিল্পী অরুণ পালের। তিনি আবার জানালেন, আগাম বরাত পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু দাম পাচ্ছেন না। নির্মাণ সামগ্রীর দাম গড়ে ১০ শতাংশ হারে বেড়েছে। অথচ বিক্রির সময় ক্রেতারা বাড়তি দাম দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘এ বার লাভের গুড় পিঁপড়ে খাবে মনে হয়।’’
কেন এই পরিস্থিতি? খোঁজ নিয়ে জানা যায় স্কুল পাড়ার, ক্লাবে পুজো করার উৎসাহ অনেক কমেছে।তা ছাড়া আগে পুজায় যে আড়ম্বর ছিলো তা এখন নেই।প্রতিটা পাড়ায় সসাংস্কৃতি উৎসব, নাটক এখন আর চোখে পড়ে না। স্বরসতী স্কুল এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগেই যেটুকু পুজো হচ্ছে। প্রতিমা যা বিক্রি, সেই সৌজন্যেই। কিন্তু সবথেকে বেশি প্রতিমা কিনে থাকে বিভিন্ন ক্লাব। মৃৎশিল্পীরা জানালেন, ক্লাবের পক্ষ থেকে একেবারেই অর্ডার মিলছে না। শেষ দিনে পরিস্থিতি আদৌ বদলাবে, এমন আশা তাঁরা করছেন না।