১২:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পন্য খালাস হচ্ছে মোংলা বন্দরে

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পন্য খালাস হচ্ছে মোংলা বন্দরে।

মোংলা সমুত্র বন্দরের ৭নম্বর জেটিতে যমুনা নদীতে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর গার্ডার সহ বিভিন্ন (যন্ত্রাংশ) নিয়ে নঙ্গর করেছে বিদেশি বানিজ্যিক জাহাজ এমভি মারস্। শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে মোংলা বন্দরের জেটিতে পৌঁছিয়ে পন্য খালাস শুরু করে পানামা পতাকাবাহী এ জাহাজটি। এটি বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর লোহার গার্ডার, পাইপ সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশের এ আমদানীকারকের ৭ম চালান। জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ও বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ এই তথ্য জানায়।

বিদেশি জাহাজ এমভি মারস্ স্থানীয় শিপিং এজেন্ট হক অ্যান্ড সন্স লিমিটেডের খুলনাস্থ অপারেশ ম্যানেজার (শিপিং বিভাগ) শওকত আলী জানান, পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এমভি মারক্স গত ১৬ জানুয়ারি ভিয়েতনামের হাইফং বন্দর থেকে সরাসরী মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এরপর ২৭ জানুয়ারী শুক্রবার দুপুর তিনটার দিকে মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভেড়ে। জাহাজটিতে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ১৯৩ প্যাকেজে ১ হাজার ৫১৯ মেঃ টন যন্ত্রাংশ সহ বিভিন্ন মালামাল রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে জাহাজটি বন্দর জেটিতে ভেড়ার পর, এদিন দুপুরের পালা থেকেই মেশিনারি পণ্য খালাস শুরু করা হয়। সেতুর খালাসকৃত পন্যগুলো বার্জে নামানে হচ্ছে, পরে সেগুলো নদী পথে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাছে পৌঁছাবে। তিনি আরো বলেন, জাহাজটি মোংলা বন্দরে নঙ্গরের পর ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই জাহাজ থেকে মেশিনারি পণ্য খালাস করা সম্পুর্ন হবে আশা করছি।

মেশিনারির পণ্য খালাসকারী শ্রমিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স বি এন্ড এম রহমান কোম্পানী লিঃ এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, মোংলা বন্দরে যতগুলো মেশিনারিজ পন্যবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরে খালাস হয়েছে তার ৬০ ভাগ পন্য এ প্রতিষ্ঠান খালাস করেছে। মোংলা বন্দর দিয়ে আমাদানী-রপ্তানীকারক ব্যাবসায়য়দের মালামাল পরিবহন করতে নৌপথ ও সড়ক পথে কোন জানঝট না থাকায় নির্ভিঘেœ পন্য আনা-নেয়া করতে পারছে। যাতে ব্যাবসায়ীদের সময় ও অর্থ দুই দিকে সাশ্রয় হচ্ছে। তাই অত্র কোম্পানীর দক্ষ কর্মকর্তা ও শ্রমিক দিয়ে দেশী-বিদেশী জাহাজ থেকে মুল্যবান এ পন্য খালাস-বোঝাই করে থাকে। তাতে সুন্দর ও সঠিক ভাবে আমাদানীকারকদের ঘরে নিক্ষুতভাবে সঠিক সময় মালামালগুলো পৌছে দেয়া যায় এটাই কোম্পানীর লক্ষ ও উদ্দোশ্যে।

মোংলা বন্দরের হারবার বিভাগ জানায়, দেশের চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম যমুনা নদীতে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। যেটির বাস্তবায়ন এখন দৃশ্যমান। এরই মধ্যে মেট্রোরেলের ১৪টি জাহাজে ১৩৮টি কোচ ও ইঞ্জিন নিয়ে মোংলা বন্দরে খালাস হয়েছে। এছাড়া মেট্রোরেল, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল ও রেল সেতুর মেশিনারি পণ্যের চালান মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়ায় এ বন্দরের যে সক্ষমতা বেড়েছে তার এটি একটি দৃশ্য। সরকারের মেঘা প্রকল্পের অধিকাংশ পন্য মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হওয়ার চলমান থাকবে বলে জানায় বন্দরের এ কর্মকর্তা।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পন্য খালাস হচ্ছে মোংলা বন্দরে

Update Time : ০২:২৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

মোংলা সমুত্র বন্দরের ৭নম্বর জেটিতে যমুনা নদীতে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর গার্ডার সহ বিভিন্ন (যন্ত্রাংশ) নিয়ে নঙ্গর করেছে বিদেশি বানিজ্যিক জাহাজ এমভি মারস্। শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে মোংলা বন্দরের জেটিতে পৌঁছিয়ে পন্য খালাস শুরু করে পানামা পতাকাবাহী এ জাহাজটি। এটি বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর লোহার গার্ডার, পাইপ সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশের এ আমদানীকারকের ৭ম চালান। জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ও বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ এই তথ্য জানায়।

বিদেশি জাহাজ এমভি মারস্ স্থানীয় শিপিং এজেন্ট হক অ্যান্ড সন্স লিমিটেডের খুলনাস্থ অপারেশ ম্যানেজার (শিপিং বিভাগ) শওকত আলী জানান, পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এমভি মারক্স গত ১৬ জানুয়ারি ভিয়েতনামের হাইফং বন্দর থেকে সরাসরী মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এরপর ২৭ জানুয়ারী শুক্রবার দুপুর তিনটার দিকে মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভেড়ে। জাহাজটিতে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ১৯৩ প্যাকেজে ১ হাজার ৫১৯ মেঃ টন যন্ত্রাংশ সহ বিভিন্ন মালামাল রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে জাহাজটি বন্দর জেটিতে ভেড়ার পর, এদিন দুপুরের পালা থেকেই মেশিনারি পণ্য খালাস শুরু করা হয়। সেতুর খালাসকৃত পন্যগুলো বার্জে নামানে হচ্ছে, পরে সেগুলো নদী পথে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাছে পৌঁছাবে। তিনি আরো বলেন, জাহাজটি মোংলা বন্দরে নঙ্গরের পর ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই জাহাজ থেকে মেশিনারি পণ্য খালাস করা সম্পুর্ন হবে আশা করছি।

মেশিনারির পণ্য খালাসকারী শ্রমিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স বি এন্ড এম রহমান কোম্পানী লিঃ এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, মোংলা বন্দরে যতগুলো মেশিনারিজ পন্যবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরে খালাস হয়েছে তার ৬০ ভাগ পন্য এ প্রতিষ্ঠান খালাস করেছে। মোংলা বন্দর দিয়ে আমাদানী-রপ্তানীকারক ব্যাবসায়য়দের মালামাল পরিবহন করতে নৌপথ ও সড়ক পথে কোন জানঝট না থাকায় নির্ভিঘেœ পন্য আনা-নেয়া করতে পারছে। যাতে ব্যাবসায়ীদের সময় ও অর্থ দুই দিকে সাশ্রয় হচ্ছে। তাই অত্র কোম্পানীর দক্ষ কর্মকর্তা ও শ্রমিক দিয়ে দেশী-বিদেশী জাহাজ থেকে মুল্যবান এ পন্য খালাস-বোঝাই করে থাকে। তাতে সুন্দর ও সঠিক ভাবে আমাদানীকারকদের ঘরে নিক্ষুতভাবে সঠিক সময় মালামালগুলো পৌছে দেয়া যায় এটাই কোম্পানীর লক্ষ ও উদ্দোশ্যে।

মোংলা বন্দরের হারবার বিভাগ জানায়, দেশের চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম যমুনা নদীতে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। যেটির বাস্তবায়ন এখন দৃশ্যমান। এরই মধ্যে মেট্রোরেলের ১৪টি জাহাজে ১৩৮টি কোচ ও ইঞ্জিন নিয়ে মোংলা বন্দরে খালাস হয়েছে। এছাড়া মেট্রোরেল, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল ও রেল সেতুর মেশিনারি পণ্যের চালান মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়ায় এ বন্দরের যে সক্ষমতা বেড়েছে তার এটি একটি দৃশ্য। সরকারের মেঘা প্রকল্পের অধিকাংশ পন্য মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হওয়ার চলমান থাকবে বলে জানায় বন্দরের এ কর্মকর্তা।