১০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঁচা ডিম ও কাপড়ের রঙ দিয়ে বিস্কুট তৈরি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কতৃক দুই লাখ টাকা জরিমানা

বাগেরহাটের শরণখোলায় পঁচা ডিম ও কাপড়ের রঙ দিয়ে বিস্কুট তৈরি করে বাজারজাত করায় একটি বেকারি কারখানাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার বিকেলে উপজেলা সদরের আল-আমিন নামে একটি বেকারি কারখানায় জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

শরণখোলা উপজেলা সদরের আল-আমিন বেকারির কারখানায় দীর্ঘদিন ধরেই পঁচা ডিম, কাপড়ের রঙ আর নোংরা পরিবেশে তৈরি হয়ে আসছে কেক, বিস্কুটসহ নানা ধরণের মুখরোচক খাদ্য। দীর্ঘ দিন ধরে এসব অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য বাজারজাত হচ্ছে শরণখোলা ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম পর্যায়ে। এসব খাবার খেয়ে শিশুসহ বয়স্করাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানাটিতে অভিযান চালায় জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সরেজমিন গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান সংশ্লিষ্টরা।

পরবর্তীতে শরণখোলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল কুদ্দুসের ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন কারখানা মালিক মো. মিজানুর রহমানকে। এভাবে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য উৎপাদনের জন্য এর আগেও কয়েকবার জরিমানা গুনেছেন এই বেকারি মালিক।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল কুদ্দুস জানান, আল আমিন বেকারি কারখানার ভেতরে পঁচা দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরে ঢুকতে হয়েছে। এক পাশে থরে থরে সাজানো কয়েক হাজার পঁচা ডিম পাওয়া গেছে। এছাড়াও মিলেছে কৌটা ভর্তি ক্ষতিকর কাপড়ের রঙ, যা দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার।

তিনি আরও জানান, কারখানাটির ভেতরের নোংরা মেঝেতে তৈরি করা নানা ধরণের খাদ্য পড়ে আছে। এসব খাদ্য প্যাকেটজাত হয়ে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন উপজেলার গ্রামগঞ্জে। এমন অব্যবস্থাপনার কারণে কারখানার মালিককে সতর্ক করে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

পঁচা ডিম ও কাপড়ের রঙ দিয়ে বিস্কুট তৈরি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কতৃক দুই লাখ টাকা জরিমানা

Update Time : ১১:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

বাগেরহাটের শরণখোলায় পঁচা ডিম ও কাপড়ের রঙ দিয়ে বিস্কুট তৈরি করে বাজারজাত করায় একটি বেকারি কারখানাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার বিকেলে উপজেলা সদরের আল-আমিন নামে একটি বেকারি কারখানায় জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

শরণখোলা উপজেলা সদরের আল-আমিন বেকারির কারখানায় দীর্ঘদিন ধরেই পঁচা ডিম, কাপড়ের রঙ আর নোংরা পরিবেশে তৈরি হয়ে আসছে কেক, বিস্কুটসহ নানা ধরণের মুখরোচক খাদ্য। দীর্ঘ দিন ধরে এসব অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য বাজারজাত হচ্ছে শরণখোলা ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম পর্যায়ে। এসব খাবার খেয়ে শিশুসহ বয়স্করাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানাটিতে অভিযান চালায় জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সরেজমিন গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান সংশ্লিষ্টরা।

পরবর্তীতে শরণখোলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল কুদ্দুসের ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন কারখানা মালিক মো. মিজানুর রহমানকে। এভাবে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য উৎপাদনের জন্য এর আগেও কয়েকবার জরিমানা গুনেছেন এই বেকারি মালিক।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল কুদ্দুস জানান, আল আমিন বেকারি কারখানার ভেতরে পঁচা দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরে ঢুকতে হয়েছে। এক পাশে থরে থরে সাজানো কয়েক হাজার পঁচা ডিম পাওয়া গেছে। এছাড়াও মিলেছে কৌটা ভর্তি ক্ষতিকর কাপড়ের রঙ, যা দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার।

তিনি আরও জানান, কারখানাটির ভেতরের নোংরা মেঝেতে তৈরি করা নানা ধরণের খাদ্য পড়ে আছে। এসব খাদ্য প্যাকেটজাত হয়ে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন উপজেলার গ্রামগঞ্জে। এমন অব্যবস্থাপনার কারণে কারখানার মালিককে সতর্ক করে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।