০৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে দূর্গম চরবাসীর সেবায় ফ্রি মেডিকেল ক‍্যাম্প

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দূর্গম মহিদাপুর চরবাসীর সেবায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে দিনব্যাপী চরের আশ্রয় কেন্দ্রে গোয়ালন্দের ‘মা হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ল‍্যাব’-এর উদ্যোগে এ ফ্রি মেডিকেল ক‍্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

ক‍্যাম্পে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে আগত মেডিসিন, নাক, কান ও গলা রোগে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ পার্থ বসু চরাঞ্চলের মানুষদের এ চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মা হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ল‍্যাবের পরিচালক মো. আব্বাস আলী, মো. মাসুদ রানা, মো. রজব আলী, মো. চুন্নু শেখ, ম‍্যানেজার শাকিল আহমেদ, সেবিকা রুবিনা , স্বাস্থ‍্য কর্মী তানজিলা আক্তার, উর্মি আক্তার প্রমুখ।

ফ্রি মেডিকেল ক‍্যাম্প সম্পর্কে ‘মা হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ল‍্যাবের পরিচালক মো. আব্বাস আলী ও মো. রজব আলী বলেন, গ্রাম অঞ্চলের অনেক অসহায় মানুষ আছে যারা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। অনেকেই অর্থের অভাবে ভালো কোনো অভিজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে পারেন না। আবার অনেকেই বেশি টাকা খরচ হবে ভেবে শহরে গিয়ে চিকিৎসক দেখাতে চান না। এ জন্য চরের সাধারন মানুষের সু-চিকিৎসার সুবিধার্থে আমরা এখানে ক‍্যাম্প করে বিনামূল্যে স্বাস্থ‍্যসেবা প্রদান করছি। আমাদের এ কার্যক্রম আগামীতেও অব‍্যাহত থাকবে।

ক‍্যাম্প সম্পর্কে স্থানীয় যুবক মো. সোহাগ গাজী বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলা হাসপাতাল এখান থেকে অনেক দূরে হওয়ায় আমরা সচরাচর ভালো মানের ডাক্তার দেখাতে পারি না। মা হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ল‍্যাব কর্তৃপক্ষ আজ একজন ভালোমানের ডাক্তার দিয়ে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করায় আমরা চরের মানুষ তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মতিয়ার রহমান বলেন, এলাকার মানুষ স্বাস্থ‍্যসেবা থেকে বঞ্চিত। রাস্তা-ঘাট অনুন্নত হওয়ায় শহরের সাথে তেমন যোগাযোগ নেই। ভালো একজন ডাক্তার দেখাতে অনেক কষ্ট ও অর্থ খরচ হয়। মা হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ল‍্যাব যে উদ্যোগ নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

ডাঃ পার্থ বসু তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই রকম একটি দূর্গম চরে এসে সাধারন মানুষকে সেবা দিতে পারার মধ্যে একটা অন্য রকম আনন্দ আছে। যোগাযোগ ব্যাবস্হার খারাপ এবং তীব্র রোদ-গরমে কষ্ট হলেও বেশ ভালো লাগছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

গোয়ালন্দে দূর্গম চরবাসীর সেবায় ফ্রি মেডিকেল ক‍্যাম্প

Update Time : ০৬:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দূর্গম মহিদাপুর চরবাসীর সেবায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে দিনব্যাপী চরের আশ্রয় কেন্দ্রে গোয়ালন্দের ‘মা হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ল‍্যাব’-এর উদ্যোগে এ ফ্রি মেডিকেল ক‍্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

ক‍্যাম্পে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে আগত মেডিসিন, নাক, কান ও গলা রোগে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ পার্থ বসু চরাঞ্চলের মানুষদের এ চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মা হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ল‍্যাবের পরিচালক মো. আব্বাস আলী, মো. মাসুদ রানা, মো. রজব আলী, মো. চুন্নু শেখ, ম‍্যানেজার শাকিল আহমেদ, সেবিকা রুবিনা , স্বাস্থ‍্য কর্মী তানজিলা আক্তার, উর্মি আক্তার প্রমুখ।

ফ্রি মেডিকেল ক‍্যাম্প সম্পর্কে ‘মা হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ল‍্যাবের পরিচালক মো. আব্বাস আলী ও মো. রজব আলী বলেন, গ্রাম অঞ্চলের অনেক অসহায় মানুষ আছে যারা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। অনেকেই অর্থের অভাবে ভালো কোনো অভিজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে পারেন না। আবার অনেকেই বেশি টাকা খরচ হবে ভেবে শহরে গিয়ে চিকিৎসক দেখাতে চান না। এ জন্য চরের সাধারন মানুষের সু-চিকিৎসার সুবিধার্থে আমরা এখানে ক‍্যাম্প করে বিনামূল্যে স্বাস্থ‍্যসেবা প্রদান করছি। আমাদের এ কার্যক্রম আগামীতেও অব‍্যাহত থাকবে।

ক‍্যাম্প সম্পর্কে স্থানীয় যুবক মো. সোহাগ গাজী বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলা হাসপাতাল এখান থেকে অনেক দূরে হওয়ায় আমরা সচরাচর ভালো মানের ডাক্তার দেখাতে পারি না। মা হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ল‍্যাব কর্তৃপক্ষ আজ একজন ভালোমানের ডাক্তার দিয়ে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করায় আমরা চরের মানুষ তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মতিয়ার রহমান বলেন, এলাকার মানুষ স্বাস্থ‍্যসেবা থেকে বঞ্চিত। রাস্তা-ঘাট অনুন্নত হওয়ায় শহরের সাথে তেমন যোগাযোগ নেই। ভালো একজন ডাক্তার দেখাতে অনেক কষ্ট ও অর্থ খরচ হয়। মা হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ল‍্যাব যে উদ্যোগ নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

ডাঃ পার্থ বসু তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই রকম একটি দূর্গম চরে এসে সাধারন মানুষকে সেবা দিতে পারার মধ্যে একটা অন্য রকম আনন্দ আছে। যোগাযোগ ব্যাবস্হার খারাপ এবং তীব্র রোদ-গরমে কষ্ট হলেও বেশ ভালো লাগছে।