০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের চিঠির তথ্য অসত্য ও অপপ্রচার

‘শেখ হাসিনার শাসন আমলে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে’ সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের এমন চিঠির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

তথগুলো ‘অসত্য ও অপপ্রাচার’ দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (১৬ জুন) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো সংগঠিনটির আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহাতাব স্বপ্নীলের সই করা এক বার্তায় এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি গণমাধ্যমের সূত্র থেকে জানতে পেরেছি যে, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে কয়েকজন মার্কিন কংগ্রেসম্যান সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে’।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে এবং হিন্দুরা এদেশে ছেড়ে ভারতে চলে যাচ্ছে। এ সবই নাকি ঘটছে শেখ হাসিনার শাসনামলে’।

সম্প্রীতি বাংলাদেশ জানায়, কংগ্রেসম্যানদের উল্লিখিত চিঠির ভিত্তিতে দেশে এবং বিদেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ৩০ লাখ বাঙালির রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের এই নোংরা ষড়যন্ত্রে আমরা মর্মাহত।

সম্প্রীতি বাংলাদেশ বলেছে, গভীর দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, জাতির জনক ও তার সুযোগ্য কন্যার মানবিক জীবনাদর্শ ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করাই এই অপপ্রচারের উদ্দেশ্য।

সংখ্যালঘুদের বিষয়ে শেখ হাসিনা নিজে কতখানি সংবেদনশীল সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। একই সঙ্গে তার প্রতি সংখ্যালঘুদের আস্থার বিষয়টিও আমরা তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে নিয়ত উপলব্ধি করে চলেছি।

এহেন মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেশে-বিদেশে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর তো বটেই, একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও সম্প্রীতির ঐতিহ্যিক সংস্কৃতির প্রতিও অশ্রদ্ধা এবং অবমাননার শামিল।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের বার্তায় বলা হয়, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় গিয়ে দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের উপর রাষ্ট্রীয় মদদে যে নৃশংস বর্বরোচিত নির্যাতন চালিয়েছিল তা একাত্তরের ইতিহাসকেও হার মানায়। খালেদা জিয়া-তারেক রহমান এবং নিজামী-মুজাহিদদের শাসনামলের ভয়াবহ ঘটনাবলীকে বর্তমান সময়কালের উল্লেখ করে অতিশয় ধূর্ততা ও চাতুর্যের সঙ্গে প্রচার করার অপচেষ্টা চলছে। আশা করি, সব ধর্মের শুভবাদী মানুষের সম্মিলিত প্রতিরোধে এসব গুজব চিরতরে বিনষ্ট করার সময় এসেছে। আমরা মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের অসত্য তথ্য সম্বলিত চিঠির ভিত্তিতে সুপরিকল্পিত অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের চিঠির তথ্য অসত্য ও অপপ্রচার

Update Time : ১০:১৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

‘শেখ হাসিনার শাসন আমলে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে’ সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের এমন চিঠির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

তথগুলো ‘অসত্য ও অপপ্রাচার’ দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (১৬ জুন) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো সংগঠিনটির আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহাতাব স্বপ্নীলের সই করা এক বার্তায় এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি গণমাধ্যমের সূত্র থেকে জানতে পেরেছি যে, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে কয়েকজন মার্কিন কংগ্রেসম্যান সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে’।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে এবং হিন্দুরা এদেশে ছেড়ে ভারতে চলে যাচ্ছে। এ সবই নাকি ঘটছে শেখ হাসিনার শাসনামলে’।

সম্প্রীতি বাংলাদেশ জানায়, কংগ্রেসম্যানদের উল্লিখিত চিঠির ভিত্তিতে দেশে এবং বিদেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ৩০ লাখ বাঙালির রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের এই নোংরা ষড়যন্ত্রে আমরা মর্মাহত।

সম্প্রীতি বাংলাদেশ বলেছে, গভীর দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, জাতির জনক ও তার সুযোগ্য কন্যার মানবিক জীবনাদর্শ ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করাই এই অপপ্রচারের উদ্দেশ্য।

সংখ্যালঘুদের বিষয়ে শেখ হাসিনা নিজে কতখানি সংবেদনশীল সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। একই সঙ্গে তার প্রতি সংখ্যালঘুদের আস্থার বিষয়টিও আমরা তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে নিয়ত উপলব্ধি করে চলেছি।

এহেন মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেশে-বিদেশে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর তো বটেই, একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও সম্প্রীতির ঐতিহ্যিক সংস্কৃতির প্রতিও অশ্রদ্ধা এবং অবমাননার শামিল।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের বার্তায় বলা হয়, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় গিয়ে দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের উপর রাষ্ট্রীয় মদদে যে নৃশংস বর্বরোচিত নির্যাতন চালিয়েছিল তা একাত্তরের ইতিহাসকেও হার মানায়। খালেদা জিয়া-তারেক রহমান এবং নিজামী-মুজাহিদদের শাসনামলের ভয়াবহ ঘটনাবলীকে বর্তমান সময়কালের উল্লেখ করে অতিশয় ধূর্ততা ও চাতুর্যের সঙ্গে প্রচার করার অপচেষ্টা চলছে। আশা করি, সব ধর্মের শুভবাদী মানুষের সম্মিলিত প্রতিরোধে এসব গুজব চিরতরে বিনষ্ট করার সময় এসেছে। আমরা মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের অসত্য তথ্য সম্বলিত চিঠির ভিত্তিতে সুপরিকল্পিত অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।