০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় নিহত সালথার যুবক এনায়েতের লাশ দাফন সম্পন্ন

মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় নিহত ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সেই যুবক এনায়েত শেখের লাশ অবশেষে দেশে ফিরিয়ে এনে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় সালথার সোনাপুর ইউনিয়নের বাংরাইল গ্রামে নিহতের বাড়ির পাশে একটি মাঠে হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে জানাজার নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।

এরআগে গত (১০ জুন) সকালে মালয়েশিয়ায় নিজ কর্মস্থলে জাহাজের খালি কনটেইনার পরিস্কার করতে গিয়ে অক্সিজেন বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।

মালয়েশিয়া থেকে টানা ১২দিন পর বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার লাশ এসে পৌছায়। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে এনায়েত ছিল সবার ছোট। তাই তার এমন মৃত্যুর পর থেকে পুরো পরিবার শোকে পাথর হয়ে ছিল। লাশ এসে বাড়িতে পৌছানোর পর পরিবারের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের বড় ভাই শাহাদত শেখ বলেন, জীবিকার তাগিদে ১২ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান আমার ভাই এনায়েত শেখ (৩৫)। দেড় বছর আগে দেশে এসে বিয়ে করে তিনি। পরে ফের মালয়েশিয়ায় চলে যান। সেখানের যাওয়ার কয়েকমাস পর ছেলে সন্তানের বাবার হয় এনায়েত। ছেলের বয়স এখন মাত্র সাত মাস। আগামী কোরবানীর ঈদে ছেলেকে দেখতে দেশে আসার কথা ছিল তার। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে গত ১০ জনু বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার দিকে মালয়েশিয়ার জহুরবারো এলাকায় নিজ কর্মস্থলে জাহাজের খালি কনটেইনার পরিস্কার করতে গিয়ে অক্সিজেন বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।

তিনি আরো বলেন, লাশ দেশে আনা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। তবে মালয়েশিয়ায় আমার ভাই যেই কোম্পানীতে কাজ করতো, সেই কোম্পানীর মালিকের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এনায়েতের লাশ এসে পৌছায়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সকাল ৬টায় বাড়িতে আনা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তার লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু বলেন, নিহত এনায়েত এলাকায় একজন সহজ-সরল ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। তিনি এলাকায় অনেক দান-জাকাত করতেন। গরীব মানুষের পাশে থাকতেন। মালয়েশিয়ায় থেকে উপার্জন করে গ্রামে একটি মাদরাসাও প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। যে কারণে গ্রামের সবাই তাকে অনেক ভালবাসতো। তার এভাবে চলে যাওয়ায় এলাকার সবাই শোকাহত।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় নিহত সালথার যুবক এনায়েতের লাশ দাফন সম্পন্ন

Update Time : ০৮:২৫:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩

মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় নিহত ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সেই যুবক এনায়েত শেখের লাশ অবশেষে দেশে ফিরিয়ে এনে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় সালথার সোনাপুর ইউনিয়নের বাংরাইল গ্রামে নিহতের বাড়ির পাশে একটি মাঠে হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে জানাজার নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।

এরআগে গত (১০ জুন) সকালে মালয়েশিয়ায় নিজ কর্মস্থলে জাহাজের খালি কনটেইনার পরিস্কার করতে গিয়ে অক্সিজেন বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।

মালয়েশিয়া থেকে টানা ১২দিন পর বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার লাশ এসে পৌছায়। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে এনায়েত ছিল সবার ছোট। তাই তার এমন মৃত্যুর পর থেকে পুরো পরিবার শোকে পাথর হয়ে ছিল। লাশ এসে বাড়িতে পৌছানোর পর পরিবারের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের বড় ভাই শাহাদত শেখ বলেন, জীবিকার তাগিদে ১২ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান আমার ভাই এনায়েত শেখ (৩৫)। দেড় বছর আগে দেশে এসে বিয়ে করে তিনি। পরে ফের মালয়েশিয়ায় চলে যান। সেখানের যাওয়ার কয়েকমাস পর ছেলে সন্তানের বাবার হয় এনায়েত। ছেলের বয়স এখন মাত্র সাত মাস। আগামী কোরবানীর ঈদে ছেলেকে দেখতে দেশে আসার কথা ছিল তার। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে গত ১০ জনু বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার দিকে মালয়েশিয়ার জহুরবারো এলাকায় নিজ কর্মস্থলে জাহাজের খালি কনটেইনার পরিস্কার করতে গিয়ে অক্সিজেন বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।

তিনি আরো বলেন, লাশ দেশে আনা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। তবে মালয়েশিয়ায় আমার ভাই যেই কোম্পানীতে কাজ করতো, সেই কোম্পানীর মালিকের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এনায়েতের লাশ এসে পৌছায়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সকাল ৬টায় বাড়িতে আনা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তার লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু বলেন, নিহত এনায়েত এলাকায় একজন সহজ-সরল ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। তিনি এলাকায় অনেক দান-জাকাত করতেন। গরীব মানুষের পাশে থাকতেন। মালয়েশিয়ায় থেকে উপার্জন করে গ্রামে একটি মাদরাসাও প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। যে কারণে গ্রামের সবাই তাকে অনেক ভালবাসতো। তার এভাবে চলে যাওয়ায় এলাকার সবাই শোকাহত।