১১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাড়ছে অপরাধ, সাইবার বুলিংয়ের শিকার বিশিষ্টজনেরা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সমাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি ও সম্মানী ব্যক্তিদের সামাজিকভাবে হেয় করতে একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রমাগত অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

চক্রটিকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানানো হয়। রোববার (৩০ জুলাই) উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বক্তারা এ ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন। বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফারসীন তারান্নুম হক, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলজার হোসেন মৃধা, দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম, দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা গিয়াস, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল হক রায়হান প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, ইদানিংকালে কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সম্মানীয় ব্যাক্তিকে টার্গেট করে হেয় করতে বিভিন্ন ধরনের পোষ্ট দিচ্ছে। এতে করে সাইবার বুলিংয়ের শিকার ব্যাক্তি সম্পর্কে  সমাজে নেতিবাচক ধারণা তৈরী হচ্ছে। চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা সহ সমাজের অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি। অপরাধী চক্রের মধ্যে তৎকালীন (বাংলা ভাই, শায়েখ আব্দুর রহমানের মতো) নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত দেশ-বিদেশে অবস্হানকারী বেশ কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন। চক্রটি হঠাৎ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা ক্রমাগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সম্মানি ব্যক্তিকে হেয় করতে ক্রমাগত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা গিয়াস বলেন, সামনে নির্বাচনকে টার্গেট করে হয়তো অপরাধীরা পুনরায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের নানা ধরনের আপত্তিকর পোস্টের মাধ্যমে সমাজে যে কোন ধরনের অস্থির পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তাই এই সভা থেকে তাদেরকে চিহিৃত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।

উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা বলেন, ইদানিং কিছু চিহিৃত তরুন, যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একেক সময় একেক ব্যক্তির উদ্দেশ্যে আপত্তিকর কথাবার্তা পোস্ট করে সমাজে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। তাদের হাত থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, পুলিশের কর্মকর্তাসহ সমাজের অনেক সম্মানীও রেহাই পাচ্ছেন না। সমাজে যাতে কোন ধরনের অস্থির পরিবেশ তৈরী না হয় সেদিকে নজর দেয়ার জোর দাবী জানাই।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, কাজ করতে গেলে পক্ষে- বিপক্ষে যাবে এটাই স্বাভাবিক। বিপক্ষে গেলে তাদের নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে হয়রানীর চেষ্টা করছেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা এমনকি পুলিশও হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ আসছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্কতা থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িতদের চিহিৃত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সভার সভাপতি ইউএনও মো. জাকির হোসেন বলেন, সাইবার বুলিং বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্থির পরিবেশ তৈরীর চেষ্টা গুরুতর অপরাধ। সভায় উত্থাপিত এ অভিযোগটি আমরা গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে করনীয় জানতে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলব।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

গোয়ালন্দে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাড়ছে অপরাধ, সাইবার বুলিংয়ের শিকার বিশিষ্টজনেরা

Update Time : ০৮:১১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সমাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি ও সম্মানী ব্যক্তিদের সামাজিকভাবে হেয় করতে একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রমাগত অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

চক্রটিকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানানো হয়। রোববার (৩০ জুলাই) উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বক্তারা এ ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন। বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফারসীন তারান্নুম হক, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলজার হোসেন মৃধা, দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম, দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা গিয়াস, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল হক রায়হান প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, ইদানিংকালে কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সম্মানীয় ব্যাক্তিকে টার্গেট করে হেয় করতে বিভিন্ন ধরনের পোষ্ট দিচ্ছে। এতে করে সাইবার বুলিংয়ের শিকার ব্যাক্তি সম্পর্কে  সমাজে নেতিবাচক ধারণা তৈরী হচ্ছে। চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা সহ সমাজের অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি। অপরাধী চক্রের মধ্যে তৎকালীন (বাংলা ভাই, শায়েখ আব্দুর রহমানের মতো) নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত দেশ-বিদেশে অবস্হানকারী বেশ কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন। চক্রটি হঠাৎ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা ক্রমাগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সম্মানি ব্যক্তিকে হেয় করতে ক্রমাগত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা গিয়াস বলেন, সামনে নির্বাচনকে টার্গেট করে হয়তো অপরাধীরা পুনরায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের নানা ধরনের আপত্তিকর পোস্টের মাধ্যমে সমাজে যে কোন ধরনের অস্থির পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তাই এই সভা থেকে তাদেরকে চিহিৃত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।

উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা বলেন, ইদানিং কিছু চিহিৃত তরুন, যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একেক সময় একেক ব্যক্তির উদ্দেশ্যে আপত্তিকর কথাবার্তা পোস্ট করে সমাজে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। তাদের হাত থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, পুলিশের কর্মকর্তাসহ সমাজের অনেক সম্মানীও রেহাই পাচ্ছেন না। সমাজে যাতে কোন ধরনের অস্থির পরিবেশ তৈরী না হয় সেদিকে নজর দেয়ার জোর দাবী জানাই।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, কাজ করতে গেলে পক্ষে- বিপক্ষে যাবে এটাই স্বাভাবিক। বিপক্ষে গেলে তাদের নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে হয়রানীর চেষ্টা করছেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা এমনকি পুলিশও হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ আসছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্কতা থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িতদের চিহিৃত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সভার সভাপতি ইউএনও মো. জাকির হোসেন বলেন, সাইবার বুলিং বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্থির পরিবেশ তৈরীর চেষ্টা গুরুতর অপরাধ। সভায় উত্থাপিত এ অভিযোগটি আমরা গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে করনীয় জানতে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলব।