০২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে অদম্য মেধাবী আসিফের পাশে দাড়ালেন সৌদি প্রবাসী হোসাইন

গোয়ালন্দের অদম্য মেধাবী আসিফ প্রামানিকের সহযোগিতায় পাশে দাড়িয়েছেন সৌদি আরব প্রবাসী মোহাম্মদ হোসাইন।

শনিবার বিকেল ৪ টায় আসিফের স্কুল দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় হতে তার কলেজে ভর্তির প্রাথমিক খরচ হিসেবে নগদ ৫ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয়। আসিফ এ বছর এসএসসি পরিক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ হতে জিপিএ -৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।

তাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ট) “পদ্মায় ঘরবাড়ি ভাঙলেও মন ভাঙেনি আসিফের ” শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। হত দরিদ্র পরিবারের সন্তান আসিফের স্বপ্ন একজন চিকিৎসক হওয়া। কিন্তু হকার বাবার পক্ষে তার পড়ালেখা চালিয়ে নেয়াই কষ্টকর। সংবাদটি নজরে আসে সৌদি প্রবাসীর।

অর্থ সহায়তা প্রদানকালে উপস্হিত ছিলেন দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ সহিদুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক ও যুগান্তর প্রতিনিধি শামীম শেখ, মোহাম্মদ হোসাইনের বড় ভাই মোহাম্মদ সুলতান প্রমূখ।

জানা গেছে,আসিফ প্রামাণিক ও তার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের স্বরূপারচক গ্রামে বসবাস করেন। গ্রামের জনৈক আলাউদ্দিন সরদারের কাছ থেকে বার্ষিক ৪ হাজার টাকায় লিজে নেয়া ৪ শতাংশ জমিতে তাদের ৬ সদস্যের পরিবারের মাথা গোঁজার কোন রকম ঠাই হয়েছে।

তিন বছর আগে পদ্মার প্রবল ভাঙ্গনে ভাড়িঘর বিলীন হয় আসিফদের। তখন সে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র ছিল। সবকিছু হারিয়ে অন্য আট/দশটা ছেলের মতো ওখানেই থেমে যেতে পারত তার লেখাপড়া।

সৌদি প্রবাসীর বড় ভাই মোহাম্মদ সুলতান বলেন, আসিফের মতো দরিদ্র মেধাবীদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ত্ব। তার মধ্যে প্রবল ইচ্ছা শক্তি রয়েছে। দরকার শুধু একটু সহযোগিতা।আমি তার জীবনের সাফল্য কামনা করি।

আসিফ জানায়, আমি এ আর্থিক সাহায্য পেয়ে আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। আমার স্বপ্ন বড় হয়ে একজন ভালো চিকিৎসক হব। দেশের মানুষকে সেবা করব। এ সময় আসিফ বলেন দেশের বিত্তশালীরা আমার মত ছাত্রদের পাশে থাকলে অনেক ভালো হতো।

দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ সহিদুল ইসলাম বলেন, আসিফ অদম্য মেধাবী একটা ছেলে। পড়ালেখা ছাড়া বিতর্ক,কুইজ,সাধারন জ্ঞান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অসাধারন দক্ষতা রয়েছে। এ জন্য জেলা-উপজেলার বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে সে বহু পুরস্কারও অর্জন করেছে। আমরা বিগত ৫ বছর তাকে সম্ভাব্য সকল ধরনের সহযোগীতা দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সে আমাদেরকে গর্বিত করেছে।

আজকে সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ হোসাইন আসিফের পাশে দাড়িয়েছে। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। আসিফের তার মতো মেধাবীর স্বপ্ন পূরনের আমি দেশের সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

গোয়ালন্দে অদম্য মেধাবী আসিফের পাশে দাড়ালেন সৌদি প্রবাসী হোসাইন

Update Time : ১০:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩

গোয়ালন্দের অদম্য মেধাবী আসিফ প্রামানিকের সহযোগিতায় পাশে দাড়িয়েছেন সৌদি আরব প্রবাসী মোহাম্মদ হোসাইন।

শনিবার বিকেল ৪ টায় আসিফের স্কুল দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় হতে তার কলেজে ভর্তির প্রাথমিক খরচ হিসেবে নগদ ৫ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয়। আসিফ এ বছর এসএসসি পরিক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ হতে জিপিএ -৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।

তাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ট) “পদ্মায় ঘরবাড়ি ভাঙলেও মন ভাঙেনি আসিফের ” শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। হত দরিদ্র পরিবারের সন্তান আসিফের স্বপ্ন একজন চিকিৎসক হওয়া। কিন্তু হকার বাবার পক্ষে তার পড়ালেখা চালিয়ে নেয়াই কষ্টকর। সংবাদটি নজরে আসে সৌদি প্রবাসীর।

অর্থ সহায়তা প্রদানকালে উপস্হিত ছিলেন দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ সহিদুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক ও যুগান্তর প্রতিনিধি শামীম শেখ, মোহাম্মদ হোসাইনের বড় ভাই মোহাম্মদ সুলতান প্রমূখ।

জানা গেছে,আসিফ প্রামাণিক ও তার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের স্বরূপারচক গ্রামে বসবাস করেন। গ্রামের জনৈক আলাউদ্দিন সরদারের কাছ থেকে বার্ষিক ৪ হাজার টাকায় লিজে নেয়া ৪ শতাংশ জমিতে তাদের ৬ সদস্যের পরিবারের মাথা গোঁজার কোন রকম ঠাই হয়েছে।

তিন বছর আগে পদ্মার প্রবল ভাঙ্গনে ভাড়িঘর বিলীন হয় আসিফদের। তখন সে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র ছিল। সবকিছু হারিয়ে অন্য আট/দশটা ছেলের মতো ওখানেই থেমে যেতে পারত তার লেখাপড়া।

সৌদি প্রবাসীর বড় ভাই মোহাম্মদ সুলতান বলেন, আসিফের মতো দরিদ্র মেধাবীদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ত্ব। তার মধ্যে প্রবল ইচ্ছা শক্তি রয়েছে। দরকার শুধু একটু সহযোগিতা।আমি তার জীবনের সাফল্য কামনা করি।

আসিফ জানায়, আমি এ আর্থিক সাহায্য পেয়ে আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। আমার স্বপ্ন বড় হয়ে একজন ভালো চিকিৎসক হব। দেশের মানুষকে সেবা করব। এ সময় আসিফ বলেন দেশের বিত্তশালীরা আমার মত ছাত্রদের পাশে থাকলে অনেক ভালো হতো।

দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ সহিদুল ইসলাম বলেন, আসিফ অদম্য মেধাবী একটা ছেলে। পড়ালেখা ছাড়া বিতর্ক,কুইজ,সাধারন জ্ঞান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অসাধারন দক্ষতা রয়েছে। এ জন্য জেলা-উপজেলার বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে সে বহু পুরস্কারও অর্জন করেছে। আমরা বিগত ৫ বছর তাকে সম্ভাব্য সকল ধরনের সহযোগীতা দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সে আমাদেরকে গর্বিত করেছে।

আজকে সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ হোসাইন আসিফের পাশে দাড়িয়েছে। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। আসিফের তার মতো মেধাবীর স্বপ্ন পূরনের আমি দেশের সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।