০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পঞ্চম চালানের কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে “এমভি বসুন্ধরা এম প্রেস”

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে নঙ্গর করেছে “এমভি বসুন্ধরা এমপ্রেস” নামের একটি বানিজ্যিক জাহাজ।

ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা এবারের পঞ্চম চালানে ৩১ হাজার ৭শ মেট্রিক টন জালানী কয়লা রয়েছে। যা নিয়ে বন্দরের হারবাড়িয়ার ১২ নম্বর এ্যাঙ্কারেজ বয়ায় নঙ্গর করেছে এ জাহাজটি। কয়লা খালাস করে লাইটার যোগে নেয়া হবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে। সেখান থেকে হোপারের মাধ্যমে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গোডাউনে মজুদ করা হবে।

স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স ‘টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিঃ কর্তৃপক্ষ জানায়, রবিবার সকাল ১০ টার দিকে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় আসে দেশীয় পতাকাবাহী “এমভি বসুন্ধরা এমপ্রেস” নামের বানাজ্যিক এ জাহাজটি। ১২ আগষ্ট রাতের জোয়ারে এসে বঙ্গোপসাগর মোহনার বন্দরের হিরোনপয়েন্টের ফেয়ারওয়ে বয়ায় অবস্থান করছিল, সেখান থেকে ভোরে সরাসরী হারবাড়িয়ার ১২ নম্বর এ্যাঙ্কারেজ বয়ায় এসে নঙ্গর করে। গত ২৪ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার “মেয়ারা পানপাই” নামক বন্দর থেকে ৪৯ হাজার ৭শ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই করে জাহাজটি। সেখান থেকে সাগর পথে ৫ আগষ্ট রাত ১২টার দিকে চট্রগ্রাম বন্দরে এসে ১৮ হাজার মেঃ টন কয়লা খালাস কাজ শুরু করে। খালাস শেষে সেখান থেকে ১২ আগষ্ট রাতে মোংলা বন্দরের উদ্দোশ্যে ছেড়ে আসে। জাহাজটি ইন্দোনেশিয়া থেকে সাগর পথ পাড়ি দিয়ে মোংলা বন্দরে পৌছাতে ২০ দিন সময় লেগেছে। কয়লা নিয়ে আসা এ জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ‘টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিঃ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।

জাহাজটি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নঙ্গর করার কথা থাকলেও ১৩ আগষ্ট রবিবার ভোর থেকেই বৈরী আবহাওয়ার কারণে সঠিক সময় বয়ায় নঙ্গর করতে একটু সময় লেগেছে। পরে সকাল ১০ টার দিকে বন্দরের হারবাড়িয়া ১২ নম্বর বয়ায় আসে পন্য বোঝাই এ মাদার ভ্যাসেলটি। নঙ্গরের পর দুপুরের পালায় জাহাজটি থেকে কয়লা খালাসের কাজ শুরু করে কয়লা খালাসকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম এ হাসেম এন্ড সন্স কোম্পানীর প্রতিনিধিরা। খালাস করা কয়লা কার্গো ও লাইটার যোগে নেয়া হচ্ছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি এলাকায়। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দট্রি কয়লার সংকটের কারণে বেশ কয়েকদিন উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে বর্তমানে বন্দরে অবস্থান করা জাহাজ থেকে কালাস করা কয়লা প্রকল্পে পৌছালে দুই এক দিনের মধ্যে পুনরায় চালু হবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। আর এর আগে বন্ধ হওয়ার পর চালু হওয়া কয়লা নিয়ে আসা এটি পঞ্চম চালানের জাহাজ।

টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিঃ এর সহকারী ব্যাবস্থাপক খন্দকার জিয়াদুল হক বলেন, বর্তমানে ৩১ হাজার ৭শ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আমাদের একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে কয়লা খালাস করছে। এছাড়া পর পর আরো বেশ কয়েকটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে, জাহাজগুলো আসলে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আর কয়লা সংকট থাকবে না বলে জানায় তিনি।

এর আগে গত ১৩ জুলাই ৩১ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে চতুর্থ চালানের “এমভি প্যানাগিয়া ক্যানালা” নামের একটি জাহাজ কয়লা খালাস করে মোংলা বন্দর ত্যাগ করেছে। আর বর্তমানে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেেেন্দ্রর দুটি ইউনিট চালাতে প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়।##

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পঞ্চম চালানের কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে “এমভি বসুন্ধরা এম প্রেস”

Update Time : ০৬:০৮:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে নঙ্গর করেছে “এমভি বসুন্ধরা এমপ্রেস” নামের একটি বানিজ্যিক জাহাজ।

ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা এবারের পঞ্চম চালানে ৩১ হাজার ৭শ মেট্রিক টন জালানী কয়লা রয়েছে। যা নিয়ে বন্দরের হারবাড়িয়ার ১২ নম্বর এ্যাঙ্কারেজ বয়ায় নঙ্গর করেছে এ জাহাজটি। কয়লা খালাস করে লাইটার যোগে নেয়া হবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে। সেখান থেকে হোপারের মাধ্যমে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গোডাউনে মজুদ করা হবে।

স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স ‘টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিঃ কর্তৃপক্ষ জানায়, রবিবার সকাল ১০ টার দিকে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় আসে দেশীয় পতাকাবাহী “এমভি বসুন্ধরা এমপ্রেস” নামের বানাজ্যিক এ জাহাজটি। ১২ আগষ্ট রাতের জোয়ারে এসে বঙ্গোপসাগর মোহনার বন্দরের হিরোনপয়েন্টের ফেয়ারওয়ে বয়ায় অবস্থান করছিল, সেখান থেকে ভোরে সরাসরী হারবাড়িয়ার ১২ নম্বর এ্যাঙ্কারেজ বয়ায় এসে নঙ্গর করে। গত ২৪ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার “মেয়ারা পানপাই” নামক বন্দর থেকে ৪৯ হাজার ৭শ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই করে জাহাজটি। সেখান থেকে সাগর পথে ৫ আগষ্ট রাত ১২টার দিকে চট্রগ্রাম বন্দরে এসে ১৮ হাজার মেঃ টন কয়লা খালাস কাজ শুরু করে। খালাস শেষে সেখান থেকে ১২ আগষ্ট রাতে মোংলা বন্দরের উদ্দোশ্যে ছেড়ে আসে। জাহাজটি ইন্দোনেশিয়া থেকে সাগর পথ পাড়ি দিয়ে মোংলা বন্দরে পৌছাতে ২০ দিন সময় লেগেছে। কয়লা নিয়ে আসা এ জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ‘টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিঃ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।

জাহাজটি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নঙ্গর করার কথা থাকলেও ১৩ আগষ্ট রবিবার ভোর থেকেই বৈরী আবহাওয়ার কারণে সঠিক সময় বয়ায় নঙ্গর করতে একটু সময় লেগেছে। পরে সকাল ১০ টার দিকে বন্দরের হারবাড়িয়া ১২ নম্বর বয়ায় আসে পন্য বোঝাই এ মাদার ভ্যাসেলটি। নঙ্গরের পর দুপুরের পালায় জাহাজটি থেকে কয়লা খালাসের কাজ শুরু করে কয়লা খালাসকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম এ হাসেম এন্ড সন্স কোম্পানীর প্রতিনিধিরা। খালাস করা কয়লা কার্গো ও লাইটার যোগে নেয়া হচ্ছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি এলাকায়। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দট্রি কয়লার সংকটের কারণে বেশ কয়েকদিন উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে বর্তমানে বন্দরে অবস্থান করা জাহাজ থেকে কালাস করা কয়লা প্রকল্পে পৌছালে দুই এক দিনের মধ্যে পুনরায় চালু হবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। আর এর আগে বন্ধ হওয়ার পর চালু হওয়া কয়লা নিয়ে আসা এটি পঞ্চম চালানের জাহাজ।

টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিঃ এর সহকারী ব্যাবস্থাপক খন্দকার জিয়াদুল হক বলেন, বর্তমানে ৩১ হাজার ৭শ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আমাদের একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে কয়লা খালাস করছে। এছাড়া পর পর আরো বেশ কয়েকটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে, জাহাজগুলো আসলে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আর কয়লা সংকট থাকবে না বলে জানায় তিনি।

এর আগে গত ১৩ জুলাই ৩১ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে চতুর্থ চালানের “এমভি প্যানাগিয়া ক্যানালা” নামের একটি জাহাজ কয়লা খালাস করে মোংলা বন্দর ত্যাগ করেছে। আর বর্তমানে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেেেন্দ্রর দুটি ইউনিট চালাতে প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়।##