১১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ, ৯ মেম্বারের!

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীরের বিরুদ্ধে ১০টি প্রকল্পে দুর্ণীতির অভিযোগ দায়ের করেছেন, ওই ইউনিয়নেরই ৯ সদস্য।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য সাফিয়া বেগম, মর্জিনা বেগম, ইউপি সদস্য পলাশ চন্দ্র কর, মো. আবু সাঈদ, মো. আমিনুর রহমান বাবু, মো. কাবিল উদ্দিন মন্ডল, মো. কামরুল ইসলাম, মো. আকরাম হোসেন ও আব্দুল কুদ্দুস গত ২০ আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবরসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ অভিযোগ দায়ের করেছেন। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বাদশা আলমগীর অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর আওতায় তার ইউনিয়নের জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরে ২৬ লক্ষ এবং ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৫৭ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। ওই কর্মসূচির পুরো কাজের ১০/১৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন করে শ্রমিকদের তালিকা করে তাদের সীমে বিকাশ একাউন্ট খুলে নিজ জিম্মায় রেখে অর্থ আতœসাত করেছেন। যে বিষয়টি শ্রমিকদের কেও জানেনও না। এমনকি সিমগুলোর নম্বরও বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও কর্মসৃজন প্রকল্পে নন-ওয়েজ নামে আরও অর্থ বরাদ্দ পেলেও যার কোন কাজই করা হয়নি। হাটবাজার বিক্রয় লব্ধ অর্থ থেকে ৫% হারে ইউনিয়নের বেরুলী হাট থেকে ৪৬% অর্থ,। স্থায়ী সম্পদ বিক্রয় লব্ধ অর্থ থেকে ১% হাওে প্রতিবছর প্রায় ২০ লক্ষ টাকা, ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রতি অর্থবছওে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা, হোল্ডিং প্লেট নির্মাণের নামে জনসাধারণের নিকট থেকে ১৭০ টাকা হিসেবে গ্রহণ পূর্বক নিজ নামে প্লেট তৈরী করে অর্থ আদায় ,কাবিখা, কাবিটা, টিআর (সাধারণ) এবং এমপির বিশেষ বরাদ্দের অর্থ, প্রতি ইদে ২৮৮৬ জনের ভিজিএফ কার্ডের ১০০০ কার্ডের চাউল নিজ হেফাজোতে রেখে বিক্রয় করা অর্থ, ৩৪৫টি ভিডাবিøউপি কার্ড, রেশন কার্ড ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড জনসংখ্যার ভিত্তিতে ওয়ার্ড ওয়ারী বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিজ ক্ষমতার অপব্যাবহার করে দরিদ্র শ্রেনীর মানুষকে লোভে ফেলে কাগজপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে তাদের অর্থ আত্মসাতসহ উপরোক্ত সকল প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করেছেন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের মিটিংয়ে অধিকাংশ মেম্বারদের না ডেকে সাক্ষর জাল করে রেজুলেশন করা হয়। এমনকি এডিপি/এলজিএসপির অর্থ কোথায় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তাও পরিষদকে জানানো হয় না।

ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম, কাবিল উদ্দিন, আকরাম হোসেন বলেন, আমরা শুধু নামে মাত্র মেম্বার। কোথায় কি হয় আমরা জানি না। আমরা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন। এরপরেও বারবার চেষ্টা করলেও তিনি আর ফোন ধরেননি।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের বিষয়টির তদন্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্তে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

রাজবাড়ীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ, ৯ মেম্বারের!

Update Time : ০৬:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীরের বিরুদ্ধে ১০টি প্রকল্পে দুর্ণীতির অভিযোগ দায়ের করেছেন, ওই ইউনিয়নেরই ৯ সদস্য।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য সাফিয়া বেগম, মর্জিনা বেগম, ইউপি সদস্য পলাশ চন্দ্র কর, মো. আবু সাঈদ, মো. আমিনুর রহমান বাবু, মো. কাবিল উদ্দিন মন্ডল, মো. কামরুল ইসলাম, মো. আকরাম হোসেন ও আব্দুল কুদ্দুস গত ২০ আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবরসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ অভিযোগ দায়ের করেছেন। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বাদশা আলমগীর অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর আওতায় তার ইউনিয়নের জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরে ২৬ লক্ষ এবং ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৫৭ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। ওই কর্মসূচির পুরো কাজের ১০/১৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন করে শ্রমিকদের তালিকা করে তাদের সীমে বিকাশ একাউন্ট খুলে নিজ জিম্মায় রেখে অর্থ আতœসাত করেছেন। যে বিষয়টি শ্রমিকদের কেও জানেনও না। এমনকি সিমগুলোর নম্বরও বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও কর্মসৃজন প্রকল্পে নন-ওয়েজ নামে আরও অর্থ বরাদ্দ পেলেও যার কোন কাজই করা হয়নি। হাটবাজার বিক্রয় লব্ধ অর্থ থেকে ৫% হারে ইউনিয়নের বেরুলী হাট থেকে ৪৬% অর্থ,। স্থায়ী সম্পদ বিক্রয় লব্ধ অর্থ থেকে ১% হাওে প্রতিবছর প্রায় ২০ লক্ষ টাকা, ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রতি অর্থবছওে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা, হোল্ডিং প্লেট নির্মাণের নামে জনসাধারণের নিকট থেকে ১৭০ টাকা হিসেবে গ্রহণ পূর্বক নিজ নামে প্লেট তৈরী করে অর্থ আদায় ,কাবিখা, কাবিটা, টিআর (সাধারণ) এবং এমপির বিশেষ বরাদ্দের অর্থ, প্রতি ইদে ২৮৮৬ জনের ভিজিএফ কার্ডের ১০০০ কার্ডের চাউল নিজ হেফাজোতে রেখে বিক্রয় করা অর্থ, ৩৪৫টি ভিডাবিøউপি কার্ড, রেশন কার্ড ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড জনসংখ্যার ভিত্তিতে ওয়ার্ড ওয়ারী বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিজ ক্ষমতার অপব্যাবহার করে দরিদ্র শ্রেনীর মানুষকে লোভে ফেলে কাগজপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে তাদের অর্থ আত্মসাতসহ উপরোক্ত সকল প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করেছেন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের মিটিংয়ে অধিকাংশ মেম্বারদের না ডেকে সাক্ষর জাল করে রেজুলেশন করা হয়। এমনকি এডিপি/এলজিএসপির অর্থ কোথায় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তাও পরিষদকে জানানো হয় না।

ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম, কাবিল উদ্দিন, আকরাম হোসেন বলেন, আমরা শুধু নামে মাত্র মেম্বার। কোথায় কি হয় আমরা জানি না। আমরা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন। এরপরেও বারবার চেষ্টা করলেও তিনি আর ফোন ধরেননি।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের বিষয়টির তদন্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্তে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।