০৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে গাছের সাথে থেমে নেই মানুষের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতা। 

পেরেক দিয়ে টাঙানো হচ্ছে ব্যানার,ফেস্টুন,সাইনবোর্ড।

গাছ হচ্ছে মানুষের পরম উপকারী বন্ধু। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, অক্সিজেন, ওষুধ ইত্যাদি আমরা গাছ থেকেই পাই। গাছের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্ত এত উপকারের পরোও পরম বন্ধু গাছের সাথে থেমে নেই আমাদের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতা। প্রয়োজনে–অপ্রয়োজনে গাছকে নির্যাতন, অত্যাচার ও হত্যা করার অদৃশ্য প্রতিযোগিতা চলছে যেন সব জায়গায়।

রাজবাড়ীর জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার গোয়ালন্দ বাজার রেলস্টেশন সড়কের পাশে রোপণ করা প্রায় ত্রিশটি বেশি কৃষ্ণচুড়া গাছে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার অসংখ্য ফেস্টুন ও ব্যানার, যা পেরেক ঠুকে আটকানো হয়েছে, ফেস্টুনগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার, ক্লিনিক, চিকিৎসক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রচারণা।

এতে সড়কের গাছগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঠিক একই রকম অবস্থা গোয়ালন্দ বিভিন্ন সড়কে অবস্থিত গাছ গুলোর।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও গাছের বাকশক্তি ও প্রতিবাদ করবার ক্ষমতা না থাকায় আমরা ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ড টাঙিয়ে পেরেক ঠুকে দিচ্ছি। গাছের জীবন আছে যেনেও আমাদের মানুষের যেন কোন হুস নেই।

সরজমিন গোয়ালন্দ উপজেলা বিভিন্ন সড়ক, গোয়ালন্দ বাজার সড়ক, বাইপাস সড়ক, স্টেশন সড়ক, কলেক সড়ক, দৌলতদিয়া বাইপাস সড়ক, দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের অবশিষ্ট গাছে, ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের আশে পাশে অবস্থিত প্রায় বেশির ভাগ সড়কে গাছে পেরেক দিয়ে টাঙানো হয়ে ব্যানার ফেস্টুন। আর এ সকল ব্যানার ফেস্টুনের অধিকাংশ রাজনৈতিক, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক, ও বিভিন্ন কোচিং সেন্টার গুলোর।

গাছে পেরেক ঠুকে সাইনবোর্ড না লাগানোর বিষয়ে ২০০২ সালে জাতীয় সংসদে একটি আইন পাস হলেও   বাস্তবে এর কোনো প্রয়োগ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ না নেয়ায় গাছের ওপর মানুষের অত্যাচার থামছে না দাবি নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের। তাই জনসচেতনতা তৈরি পাশাপাশি গাছ রক্ষার প্রয়োজনে এই আইনটি দ্রুত কার্যকর করার দাবি তাদের।

স্থানীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একজ জাগরণের আহবায়ক সুজন সরওয়ার দেশ রূপান্তর কে বলেন, গাছ আমাদের নিঃস্বার্থ বন্ধু, যে এত কিছু দেবার পরো আমাদের কাছ থেকে তার চাওয়া নেই, কিন্তু আমাদের বোধ শক্তি থাকার পরো আমরা গাছ কে বিভিন্ন ফেস্টুন, ব্যানার পেরেক দিয়ে টাঙাচ্ছি। আমরা হয়তো ভুলেই গেছি যে গাছেও জীবন আছে। আমরা চাই গাছে  সাইনবোর্ড, ফেস্টুন, ব্যানার টাঙানো না হয় ও এ নিয়ে আইনানুক ব্যবস্থা ও সবার মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

গোয়ালন্দে গাছের সাথে থেমে নেই মানুষের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতা। 

Update Time : ০২:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পেরেক দিয়ে টাঙানো হচ্ছে ব্যানার,ফেস্টুন,সাইনবোর্ড।

গাছ হচ্ছে মানুষের পরম উপকারী বন্ধু। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, অক্সিজেন, ওষুধ ইত্যাদি আমরা গাছ থেকেই পাই। গাছের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্ত এত উপকারের পরোও পরম বন্ধু গাছের সাথে থেমে নেই আমাদের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতা। প্রয়োজনে–অপ্রয়োজনে গাছকে নির্যাতন, অত্যাচার ও হত্যা করার অদৃশ্য প্রতিযোগিতা চলছে যেন সব জায়গায়।

রাজবাড়ীর জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার গোয়ালন্দ বাজার রেলস্টেশন সড়কের পাশে রোপণ করা প্রায় ত্রিশটি বেশি কৃষ্ণচুড়া গাছে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার অসংখ্য ফেস্টুন ও ব্যানার, যা পেরেক ঠুকে আটকানো হয়েছে, ফেস্টুনগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার, ক্লিনিক, চিকিৎসক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রচারণা।

এতে সড়কের গাছগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঠিক একই রকম অবস্থা গোয়ালন্দ বিভিন্ন সড়কে অবস্থিত গাছ গুলোর।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও গাছের বাকশক্তি ও প্রতিবাদ করবার ক্ষমতা না থাকায় আমরা ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ড টাঙিয়ে পেরেক ঠুকে দিচ্ছি। গাছের জীবন আছে যেনেও আমাদের মানুষের যেন কোন হুস নেই।

সরজমিন গোয়ালন্দ উপজেলা বিভিন্ন সড়ক, গোয়ালন্দ বাজার সড়ক, বাইপাস সড়ক, স্টেশন সড়ক, কলেক সড়ক, দৌলতদিয়া বাইপাস সড়ক, দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের অবশিষ্ট গাছে, ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের আশে পাশে অবস্থিত প্রায় বেশির ভাগ সড়কে গাছে পেরেক দিয়ে টাঙানো হয়ে ব্যানার ফেস্টুন। আর এ সকল ব্যানার ফেস্টুনের অধিকাংশ রাজনৈতিক, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক, ও বিভিন্ন কোচিং সেন্টার গুলোর।

গাছে পেরেক ঠুকে সাইনবোর্ড না লাগানোর বিষয়ে ২০০২ সালে জাতীয় সংসদে একটি আইন পাস হলেও   বাস্তবে এর কোনো প্রয়োগ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ না নেয়ায় গাছের ওপর মানুষের অত্যাচার থামছে না দাবি নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের। তাই জনসচেতনতা তৈরি পাশাপাশি গাছ রক্ষার প্রয়োজনে এই আইনটি দ্রুত কার্যকর করার দাবি তাদের।

স্থানীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একজ জাগরণের আহবায়ক সুজন সরওয়ার দেশ রূপান্তর কে বলেন, গাছ আমাদের নিঃস্বার্থ বন্ধু, যে এত কিছু দেবার পরো আমাদের কাছ থেকে তার চাওয়া নেই, কিন্তু আমাদের বোধ শক্তি থাকার পরো আমরা গাছ কে বিভিন্ন ফেস্টুন, ব্যানার পেরেক দিয়ে টাঙাচ্ছি। আমরা হয়তো ভুলেই গেছি যে গাছেও জীবন আছে। আমরা চাই গাছে  সাইনবোর্ড, ফেস্টুন, ব্যানার টাঙানো না হয় ও এ নিয়ে আইনানুক ব্যবস্থা ও সবার মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হক।