০১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণপিটুনির শিকার রবিউল মারা গেলেন ‘পুলিশ হেফাজতে’

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩৭:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ২৩৩ Time View

যশোরে চাঁদাবাজির অভিযোগে গণপিটুনির শিকার রবিউল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির ‘পুলিশ হেফাজতে’ মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজারে গণপিটুনির শিকার হন তিনি।

বিকালে পুলিশ হেফাজতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যায় পুলিশ তার লাশ নিয়ে আসে হাসপাতালে।

নিহত রবিউল ইসলাম (৪৫) যশোর শহরের পালবাড়ি পাওয়ার হাউস এলাকার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ইজিবাইক থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ, হত্যা ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র রূপন কুমার সরকার জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে যশোর সদর উপজেলার চুড়ানমনকাটি বাজারের এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা ইজিবাইক চালক আবদুল মালেকের কাছে চাঁদা দাবি করে। ইজিবাইক চালক ৫০০ টাকা দিতে গেলে টাকা ফেলে দেয় এবং আরও চাঁদা দাবি করে। ইজিবাইক চালক ভয়ে ইজিবাইক নিয়ে চলে যেতে চাইলে রবিউল লাফ দিয়ে ইজিবাইকে উঠে পড়ে এবং বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে।

ইজিবাইক চালক চুড়ামনকাঠি বাজারে চৌগাছা রোডে মালিক সমিতির বাস কাউন্টার অফিসের সামনে এসে চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে রবিউলকে গণপিটুনি দেয়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় সাজিয়ালী ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা বিকাল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে রবিউলকে হেফাজতে নেয়।

পরে ইজিবাইক চালকের সহায়তায় আটককৃত চাঁদাবাজ রবিউল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। একই সঙ্গে ইজিবাইক চালক  আবদুল মালেক কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। আসামি রবিউল ইসলাম কোতোয়ালি থানা হাজতখানায় থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক রবিউল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সালাউদ্দিন স্বপন জানান, গণপিটুনির শিকার রবিউলকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৩৮ মিনিটে জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশ তাকে নিয়ে চলে যায়। এরপর  সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে রবিউলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনে পুলিশ। হার্টফেলের কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয় সম্ভব হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

গণপিটুনির শিকার রবিউল মারা গেলেন ‘পুলিশ হেফাজতে’

Update Time : ০৯:৩৭:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

যশোরে চাঁদাবাজির অভিযোগে গণপিটুনির শিকার রবিউল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির ‘পুলিশ হেফাজতে’ মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজারে গণপিটুনির শিকার হন তিনি।

বিকালে পুলিশ হেফাজতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যায় পুলিশ তার লাশ নিয়ে আসে হাসপাতালে।

নিহত রবিউল ইসলাম (৪৫) যশোর শহরের পালবাড়ি পাওয়ার হাউস এলাকার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ইজিবাইক থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ, হত্যা ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র রূপন কুমার সরকার জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে যশোর সদর উপজেলার চুড়ানমনকাটি বাজারের এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা ইজিবাইক চালক আবদুল মালেকের কাছে চাঁদা দাবি করে। ইজিবাইক চালক ৫০০ টাকা দিতে গেলে টাকা ফেলে দেয় এবং আরও চাঁদা দাবি করে। ইজিবাইক চালক ভয়ে ইজিবাইক নিয়ে চলে যেতে চাইলে রবিউল লাফ দিয়ে ইজিবাইকে উঠে পড়ে এবং বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে।

ইজিবাইক চালক চুড়ামনকাঠি বাজারে চৌগাছা রোডে মালিক সমিতির বাস কাউন্টার অফিসের সামনে এসে চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে রবিউলকে গণপিটুনি দেয়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় সাজিয়ালী ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা বিকাল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে রবিউলকে হেফাজতে নেয়।

পরে ইজিবাইক চালকের সহায়তায় আটককৃত চাঁদাবাজ রবিউল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। একই সঙ্গে ইজিবাইক চালক  আবদুল মালেক কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। আসামি রবিউল ইসলাম কোতোয়ালি থানা হাজতখানায় থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক রবিউল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সালাউদ্দিন স্বপন জানান, গণপিটুনির শিকার রবিউলকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৩৮ মিনিটে জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশ তাকে নিয়ে চলে যায়। এরপর  সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে রবিউলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনে পুলিশ। হার্টফেলের কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয় সম্ভব হবে।