বিশেষ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানায় এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি ও প্রবাসীর স্ত্রীসহ তিন ধর্ষণের অভিযোগে একদিনে তিনটি পৃথক মামলা হয়েছে । ধর্ষন মামলায় ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)সফিকুল ইসলাম মোল্ল্যা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

থানাপুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, গত রোববার ১৪ নভেম্বর উপজেলার জামিত্তা ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের একপ্রবাসীর স্ত্রী(২০) তার দেবরের বিরুদ্ধে ধষর্ণ মামলা করেন। মামলারে এজাহোরে জানা গেছে, বাদীর দেবর মুন্সীনগর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে হেলাল ফকির(২৮) দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্যক্ত করতো। স্বামী প্রবাসে থাকায় তার চাচাতো দেবর হেলাল ফকিকের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে স্বামীর বাড়ী থেকে পিতার বাড়ী গিয়ে থাকতো। ঘটনার দির ১৪ নভেম্বর বিকাল চারটার দিকে ধর্ষক তার পিতার বাড়ী গিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষন করে। পরে বাদীর ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে অভিযুক্ত ধর্ষক হেলালকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। এঘটনায় অভিযোগকারী বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় নারী ও শিশু নিযাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী২০০৩)এর ৯(৪)(খ) ধারায় মামলা রুজু করেন।

অপরদিকে উপজেলার পৌরএলাকার আঙ্গারিয়া মহল্লার আবাসনের বাসিন্দা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি (১৪)কে প্রতিবেশী শহীদের ছেলে আলামিন(২২) গত ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাত ১০ ঘটিকার সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য বের হওয়ার সময় জোড়পূর্বক ধর্ষন করে। এঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ১৪ নভেম্বর সিংগাইর থানায় নারী ও শিশু নিযাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী২০০৩)এর ৯(১) ধারায় মামলা করেন।

এদিকে সিংগাইর পৌরএলাকার গোবিন্দল গ্রামের এক ট্রাক ড্রাইভারের স্ত্রী(২৮)কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের মানিকদহ গ্রামের হাছেন বিশ্বাস ছেলে দুলাল বিশ্বাস (৩০) জোর করে ধর্ষণ করে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ট্রাক ড্রাইভার দুলাল বিশ্বাস আছিয়ার বাড়ীতে বিভিন্ন অজুহাতে আসা-যাওয়া করতো । গত ২৬ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোঃ দুলাল বিশ্বাস সুকৌশলে ওই নারীর ঘরে ঢুকে বিয়ের প্রলোভনে ফুসলাইয়া জোড় করে ধর্ষণ করে।এঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় নারী ও শিশু নিযাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী২০০৩)এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় অভিযুক্ত দুলাল বিশ্বাসকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম মোল্ল্যা বলেন, পৃথক ৩টি ধর্ষনের মামলা হয়েছে। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে দুলালকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও অন্য অভিযুক্ত আসামী কে গ্রামবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গ্রেফতারকৃত দুই জনকে সোমবার(১৫ নভেম্বর) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।