১২:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানিকগঞ্জে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
  • ১৭৯ Time View

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও তাঁর এক কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।  বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে ঘোস্তা জাহাঙ্গীরনগর গ্রামে এ ঘটনা

চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মহিদুর রহমানের নির্দেশে তাঁর কর্মীরা এ হামলা চালান। এ সময় তাঁর এক কর্মীকে মারধর করা হয়।

আগামী ২৮ নভেম্বর উপজেলার ১০টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পুটাইল ইউপিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুর রহমান আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল জলিল (আনারস প্রতীক) স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।

চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, তাঁর কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর নির্দেশে তাঁর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয় এবং তাঁর কর্মীকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা আতঙ্কে রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় তাঁর কর্মী ও সমর্থকদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে টাঙানো তাঁর নির্বাচনী পোস্টার ছেড়া হচ্ছে। এ বিষয়টি তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিদুর রহমান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত তিনি ও তাঁর কর্মীরা অন্য এলাকায় (লেমুবাড়ি) দলের একটি বিশেষ বর্ধিত সভায় ছিলেন। ওই প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুরের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। অন্য কোনো প্রার্থী ভাংচুর করে থাকতে পারে। বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, খবর পেয়ে তিনিসহ আরও পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে যান। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী ও কর্মীদের আচরণবিধি মেনে চলতে এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ কাজ করছে। ওই প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ তিনি শুনেছেন। কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

মানিকগঞ্জে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ

Update Time : ০২:৫৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও তাঁর এক কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।  বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে ঘোস্তা জাহাঙ্গীরনগর গ্রামে এ ঘটনা

চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মহিদুর রহমানের নির্দেশে তাঁর কর্মীরা এ হামলা চালান। এ সময় তাঁর এক কর্মীকে মারধর করা হয়।

আগামী ২৮ নভেম্বর উপজেলার ১০টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পুটাইল ইউপিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুর রহমান আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল জলিল (আনারস প্রতীক) স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।

চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, তাঁর কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর নির্দেশে তাঁর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয় এবং তাঁর কর্মীকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা আতঙ্কে রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় তাঁর কর্মী ও সমর্থকদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে টাঙানো তাঁর নির্বাচনী পোস্টার ছেড়া হচ্ছে। এ বিষয়টি তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিদুর রহমান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত তিনি ও তাঁর কর্মীরা অন্য এলাকায় (লেমুবাড়ি) দলের একটি বিশেষ বর্ধিত সভায় ছিলেন। ওই প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুরের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। অন্য কোনো প্রার্থী ভাংচুর করে থাকতে পারে। বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, খবর পেয়ে তিনিসহ আরও পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে যান। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী ও কর্মীদের আচরণবিধি মেনে চলতে এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ কাজ করছে। ওই প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ তিনি শুনেছেন। কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।