১১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় স্ত্রীর অধিকার এর দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
  • ৯৮৩ Time View

 

স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে স্বামীর বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছেন তার স্ত্রী শেলী (ছদ্দনাম)। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের খাজানগর চাষী ক্লাব পাড়ায়।
ভুক্তভোগী স্ত্রী সূত্রে জানা যায়, খাজানগর চাষী ক্লাব পাড়ায় তার ফুফুর বাড়ি আসা যাওয়া কালে ফজলুর রহমানের পুত্র আল জোবায়ের হোসেন ওরফে বাঁধনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে বাঁধনের সাথে শেলী বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরাও করে। এরই মাঝে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের পূর্বে চৌড়হাসে বাঁধনের এক বন্ধুর বাড়িতে তাদের প্রথম শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। এভাবে চলতে চলতে একসময় গত দুই মাস পূর্বে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে রাতে বাঁধন মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ে করার জন্য হট্টগোল তৈরি করে। বাধ্য হয়ে মেয়ের পরিবার মুঠোফোনে বাঁধনের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে স্থানীয় মনিরুজ্জামান ওরফে মনির কাজীর মাধ্যমে ২লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিবাহ কার্য সম্পন্ন করে।
বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পরে বিবাহের দিন ও পরের দুই দিন বাঁধন মেয়ের বাড়িতে রাত্রি যাপন করে। বিয়ের পর থেকেই বাবা মা মেনে না নেওয়ার অজুহাতে বাঁধন তার স্ত্রীকে কখনোই শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে আসেনি। এরই মধ্যে গত ১৫ দিন পূর্ব থেকে বাঁধন তার স্ত্রীর সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয়। কোন উপায় না পেয়ে স্ত্রীর অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবিতে তিনি শুক্রবার তার শ্বশুরবাড়িতে এসে উপস্থিত হন। উপস্থিত তার শাশুড়ি তাকে গলাধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং বলে তার স্বামী বাঁধন ঢাকাতে অবস্থান করছেন। তারা তাকে কখনোই পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেবেন না। কোন উপায় না থাকায় তিনি বাড়ির বন্ধ গেটের সামনে অবস্থান নেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাকে যদি পুত্রবধূ হিসেবে মেনে না নেয়া হয় তাহলে তিনি এই বাড়ির মধ্যেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করবেন।
অন্যদিকে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জগতি ক্যাম্প পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে মেয়েকে তার অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে আগামী সোমবার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেয়া হবে মর্মে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ ও দুই পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

কুষ্টিয়ায় স্ত্রীর অধিকার এর দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান

Update Time : ০৫:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

 

স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে স্বামীর বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছেন তার স্ত্রী শেলী (ছদ্দনাম)। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের খাজানগর চাষী ক্লাব পাড়ায়।
ভুক্তভোগী স্ত্রী সূত্রে জানা যায়, খাজানগর চাষী ক্লাব পাড়ায় তার ফুফুর বাড়ি আসা যাওয়া কালে ফজলুর রহমানের পুত্র আল জোবায়ের হোসেন ওরফে বাঁধনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে বাঁধনের সাথে শেলী বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরাও করে। এরই মাঝে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের পূর্বে চৌড়হাসে বাঁধনের এক বন্ধুর বাড়িতে তাদের প্রথম শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। এভাবে চলতে চলতে একসময় গত দুই মাস পূর্বে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে রাতে বাঁধন মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ে করার জন্য হট্টগোল তৈরি করে। বাধ্য হয়ে মেয়ের পরিবার মুঠোফোনে বাঁধনের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে স্থানীয় মনিরুজ্জামান ওরফে মনির কাজীর মাধ্যমে ২লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিবাহ কার্য সম্পন্ন করে।
বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পরে বিবাহের দিন ও পরের দুই দিন বাঁধন মেয়ের বাড়িতে রাত্রি যাপন করে। বিয়ের পর থেকেই বাবা মা মেনে না নেওয়ার অজুহাতে বাঁধন তার স্ত্রীকে কখনোই শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে আসেনি। এরই মধ্যে গত ১৫ দিন পূর্ব থেকে বাঁধন তার স্ত্রীর সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয়। কোন উপায় না পেয়ে স্ত্রীর অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবিতে তিনি শুক্রবার তার শ্বশুরবাড়িতে এসে উপস্থিত হন। উপস্থিত তার শাশুড়ি তাকে গলাধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং বলে তার স্বামী বাঁধন ঢাকাতে অবস্থান করছেন। তারা তাকে কখনোই পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেবেন না। কোন উপায় না থাকায় তিনি বাড়ির বন্ধ গেটের সামনে অবস্থান নেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাকে যদি পুত্রবধূ হিসেবে মেনে না নেয়া হয় তাহলে তিনি এই বাড়ির মধ্যেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করবেন।
অন্যদিকে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জগতি ক্যাম্প পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে মেয়েকে তার অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে আগামী সোমবার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেয়া হবে মর্মে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ ও দুই পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।