০১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউপি নির্বাচনে মানিকগঞ্জে আপন চাচা ভাতিজার ভোট যুদ্ধ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
  • ৩৩৯ Time View

                

তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রামে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিকের আপন চাচার সাথে প্রতিদ্বন্ডীতায় মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আপন ভাতিজা। আর এনিয়ে ওই ইউনিয়ন জুড়ে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে।

চলতি মাসের ২৮ নভেম্বর সদর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আটিগ্রাম ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম সরকার (নৌকা) প্রতিক ও তার আপন বড় ভাইয়ের ছেলে মো. গাজী সালাহউদ্দীন টিটু (মোটরসাইকেল)প্রতিকে প্রার্থী হয়ে ভোটারদের দাড়ে দাড়ে ভোট প্রার্থনা করছে। তাদের এই চাচা ভাতিজার ভোট যুদ্ধে ওই ইউনিয়নের  সাবেক আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী নারগীস আক্তার বাচ্চা আনারস প্রতিক নিয়ে লড়াই করছেন ।

আটিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকের প্রতিকের প্রার্থী গাজী সালাহউদ্দীন টিটু বলেন, আমার বাবা এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকা কালীন তিনি মারা যান। বাবা যখন মারা যান তখন আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদালয়ের ছাত্র ছিলাম বিধায় আমার চাচা বর্তমানে (নৌকা) প্রতিকের মো. নূরে আলম সরকার উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় ।আমার লেখাপড়া শেষ হলে আমি গ্রামে চলে আসি তার পর থেকে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছি ধীর্ঘ বছর । প্রতিবার নির্বাচন এলে চাচা বলে এই বারই শেষ তার কিন্তু সে কোন ভাবেই আমাকে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে দিচ্ছিলো না।এই বছর গণ মানুষের অনুরোধে  আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। তবে নৌকা প্রতিকের অনুসারীরা চাপ প্রয়োগ করছে। তাতে কোন লাভ হবেনা কারণ আমার বাবার ভালো কাজের জন্য এই বার আমাকে সাধারণ জনগন বিজয়ী করবে বলে আমার দৃঢবিশ্বাস। নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মোঃ নূরে আলম সরকার বললেন, নির্বাচন করার অধিকার সবারই আছে। জনগন যাকে ভোট দিবেন তিনি হবেন চেয়ারম্যান। তবে ভাতিজাকে চাপ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করেন তিনি।

এদিকে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৩৭ জন চেয়ারম্যান পদে  লড়ছেন প্রর্থীরা। প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী না থাকায় জাগীর ইউনিয়ন পরিষদে জাকির হোসেন ও গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের  আফসার উদ্দীন সরকার পূনরায় আবারো  নির্বাচিত হয়েছেন। ১০টি ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য (মেম্বার)পদে ৩৩৩ জন পুরুষ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে  ১০৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

ইউপি নির্বাচনে মানিকগঞ্জে আপন চাচা ভাতিজার ভোট যুদ্ধ

Update Time : ০৪:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১

                

তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রামে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিকের আপন চাচার সাথে প্রতিদ্বন্ডীতায় মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আপন ভাতিজা। আর এনিয়ে ওই ইউনিয়ন জুড়ে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে।

চলতি মাসের ২৮ নভেম্বর সদর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আটিগ্রাম ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম সরকার (নৌকা) প্রতিক ও তার আপন বড় ভাইয়ের ছেলে মো. গাজী সালাহউদ্দীন টিটু (মোটরসাইকেল)প্রতিকে প্রার্থী হয়ে ভোটারদের দাড়ে দাড়ে ভোট প্রার্থনা করছে। তাদের এই চাচা ভাতিজার ভোট যুদ্ধে ওই ইউনিয়নের  সাবেক আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী নারগীস আক্তার বাচ্চা আনারস প্রতিক নিয়ে লড়াই করছেন ।

আটিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকের প্রতিকের প্রার্থী গাজী সালাহউদ্দীন টিটু বলেন, আমার বাবা এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকা কালীন তিনি মারা যান। বাবা যখন মারা যান তখন আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদালয়ের ছাত্র ছিলাম বিধায় আমার চাচা বর্তমানে (নৌকা) প্রতিকের মো. নূরে আলম সরকার উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় ।আমার লেখাপড়া শেষ হলে আমি গ্রামে চলে আসি তার পর থেকে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছি ধীর্ঘ বছর । প্রতিবার নির্বাচন এলে চাচা বলে এই বারই শেষ তার কিন্তু সে কোন ভাবেই আমাকে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে দিচ্ছিলো না।এই বছর গণ মানুষের অনুরোধে  আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। তবে নৌকা প্রতিকের অনুসারীরা চাপ প্রয়োগ করছে। তাতে কোন লাভ হবেনা কারণ আমার বাবার ভালো কাজের জন্য এই বার আমাকে সাধারণ জনগন বিজয়ী করবে বলে আমার দৃঢবিশ্বাস। নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মোঃ নূরে আলম সরকার বললেন, নির্বাচন করার অধিকার সবারই আছে। জনগন যাকে ভোট দিবেন তিনি হবেন চেয়ারম্যান। তবে ভাতিজাকে চাপ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করেন তিনি।

এদিকে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৩৭ জন চেয়ারম্যান পদে  লড়ছেন প্রর্থীরা। প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী না থাকায় জাগীর ইউনিয়ন পরিষদে জাকির হোসেন ও গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের  আফসার উদ্দীন সরকার পূনরায় আবারো  নির্বাচিত হয়েছেন। ১০টি ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য (মেম্বার)পদে ৩৩৩ জন পুরুষ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে  ১০৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।