০৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলায় কয়লা বোঝাই ডুবে যাওয়া কার্গোর ৯ দিন পর উদ্ধার কাজ শুরু এখনও খোজ মিলেনি ২ নাবিকের

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২৮:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১
  • ১৭৮ Time View
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ৬শ মেঃ টন কয়লা বোঝাই নিয়ে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ এমভি ফারদিন-১, ৯দিন পর উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে পন্য আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান ও কার্গো মালিক পক্ষ। ঢাকা নারায়নগঞ্জ থেকে আসা ভাই ভাই সালভেস নামের ১৫ দসস্যের একটি উদ্ধারকারী ও ডুবুড়ী দল সকালে পশুর চ্যানেলে ভাটির সময় প্রথমে কয়লা উত্তলন শুরু করে। তবে ডুবন্ত কার্গো থেকে কয়লা অপসারন শেষ হলে পরে জাহাজটি উদ্ধার করা হবে বলেও জানায় ডুবন্ত কার্গো জাহাজ মালিক মোঃ ফললুল হক খোকন।
গত ৯দিন চ্যানেলে ডুবে থাকার ফলে কার্গো জাহাজ ও কয়লার রাখার হ্যাজে পলী পরে ভরাট হয়ে যাওয়া জাহাজটিতে কয়লা ও জাহাজটি উদ্ধার করতে সময় লাগবে বলেও জাননিয়েছে ডুবুড়ী দলের প্রধান মোঃ ছত্তার হাওলাদার।
এদিকে, কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ ডুবিতে ৭ নাবিকের মধ্যেওই দিন রাতে দুইজন ভাসমান অবস্থায় সাতরিয়ে কিনারে উঠতে পারলেও ৫ নাবিক নিখোজ হয়। গত ৯দিনে নিখোজ ৫ নাবিকের মধ্যে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে কিন্ত এখানও নিখোজ রয়েছে জিহাদ ও মহিউদ্দিন নামের ২ নাবিক। তাদের সন্ধ্যানে পরিবারের লোকজন মোংলায় অবস্থান করে উদ্ধারে সন্ধ্যান চালাচ্ছে বলে জানায় কার্গো মালিক।
মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় ৯ নম্বর এ্যাঙ্কারেজ বয়ায় নঙ্গর করা কয়লা বোঝাই মাল্টার পতাকাবাহী বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ এম,ভি এলিনা-বি থেকে কয়লা বোঝাই করে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটি। গত ১৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৬শ’ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই করে ঢাকার গাবতলী একটি মিলে কয়লা নিয়ে যাওয়ার উদ্দোশ্যে মোংলা শহরের অভিমুখে আসছিল কার্গোটি। পথে মধ্যে অপারদিক থেকে আসা অন্য একটি বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ বন্দর ত্যাগ করে যাওয়ার সময় ওই জাহাজের সাথে সংঘর্ষ হয়ে ডুবে যায় কার্গো জাহাজ এমভি ফারদিন-১।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন’র মোংলা শাখা সহ-সাধারন সম্পাদক ও উদ্ধারকারী মালিক পক্ষের সদস্য মোঃ বাবুল হোসেন বলেন, মোংলা বন্দরে উদ্ধারকারী কোন জলযান না থাকায় ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী টিম আনা হয়েছে। তাদের সাথে যোগা যোগ করা এবং কার্গো উত্তলনের ব্যাপারে চুক্তি পত্র সম্পন্ন করতে সময় েকটি বেশী লেগেছে। তাই ডুবন্ত কার্গোটিতে পলি পরে ভরাট হয়ে যাওয়ায় কিছুটা সদস্যা দেখা দিয়েছে। তার পরেও চেস্টা চলছে।
ডুবন্ত কার্গো জাহাজের মুল মালিক মোঃ ফজলুর হক খোকন বলেন, আমি উক্ত জাহাজটি সাটার মালিক মানিককে মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে বেশ কিছু দিন আগে দেয়া হয়েছিল। তাকে দেয়ার এটাই চুক্তি ছিল, সে নিজে মাস্টার এবং জাহাজটি নিজেই পরিচালনা করবে। কিন্ত যে দিন কার্গোটি ডুবেছে তখন সে নিজে জাহাজে ছিলনা এবং অন্য একজন লস্কর দিয়ে পন্য বোঝাই জাহাজটি রাতে চালিয়ে আসার চেষ্টা করায় এমন দুর্ঘটনা ঘটে। জাহাজ ডুবির পর থেকে সাটার মালিক অত্নগোপানে রয়েছে, এছাড়া যে সকল নাবিকের মৃত হয়েছে তাদের পরিবারের খরচ দেয়া এবং উদ্ধারকৃত লাশের দাফন আমার পক্ষ থেকে সকল খরচ বহন করা হয়েছে। এখনও দুইজন নাবিক নিখোজ রয়েছে, তাদের অনু সন্ধানেরও চেস্টা অব্যাহত আছে বলে জানায় কার্গো মালিক ফজলুল হক।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফিনল্যান্ড 5 বছরের কাজের ভিসা | ফিনল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ চাকরি নিয়োগ এপ্রিল-মে 2024 এখনি এপ্লাই করুন.

মোংলায় কয়লা বোঝাই ডুবে যাওয়া কার্গোর ৯ দিন পর উদ্ধার কাজ শুরু এখনও খোজ মিলেনি ২ নাবিকের

Update Time : ০৫:২৮:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ৬শ মেঃ টন কয়লা বোঝাই নিয়ে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ এমভি ফারদিন-১, ৯দিন পর উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে পন্য আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান ও কার্গো মালিক পক্ষ। ঢাকা নারায়নগঞ্জ থেকে আসা ভাই ভাই সালভেস নামের ১৫ দসস্যের একটি উদ্ধারকারী ও ডুবুড়ী দল সকালে পশুর চ্যানেলে ভাটির সময় প্রথমে কয়লা উত্তলন শুরু করে। তবে ডুবন্ত কার্গো থেকে কয়লা অপসারন শেষ হলে পরে জাহাজটি উদ্ধার করা হবে বলেও জানায় ডুবন্ত কার্গো জাহাজ মালিক মোঃ ফললুল হক খোকন।
গত ৯দিন চ্যানেলে ডুবে থাকার ফলে কার্গো জাহাজ ও কয়লার রাখার হ্যাজে পলী পরে ভরাট হয়ে যাওয়া জাহাজটিতে কয়লা ও জাহাজটি উদ্ধার করতে সময় লাগবে বলেও জাননিয়েছে ডুবুড়ী দলের প্রধান মোঃ ছত্তার হাওলাদার।
এদিকে, কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ ডুবিতে ৭ নাবিকের মধ্যেওই দিন রাতে দুইজন ভাসমান অবস্থায় সাতরিয়ে কিনারে উঠতে পারলেও ৫ নাবিক নিখোজ হয়। গত ৯দিনে নিখোজ ৫ নাবিকের মধ্যে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে কিন্ত এখানও নিখোজ রয়েছে জিহাদ ও মহিউদ্দিন নামের ২ নাবিক। তাদের সন্ধ্যানে পরিবারের লোকজন মোংলায় অবস্থান করে উদ্ধারে সন্ধ্যান চালাচ্ছে বলে জানায় কার্গো মালিক।
মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় ৯ নম্বর এ্যাঙ্কারেজ বয়ায় নঙ্গর করা কয়লা বোঝাই মাল্টার পতাকাবাহী বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ এম,ভি এলিনা-বি থেকে কয়লা বোঝাই করে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটি। গত ১৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৬শ’ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই করে ঢাকার গাবতলী একটি মিলে কয়লা নিয়ে যাওয়ার উদ্দোশ্যে মোংলা শহরের অভিমুখে আসছিল কার্গোটি। পথে মধ্যে অপারদিক থেকে আসা অন্য একটি বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ বন্দর ত্যাগ করে যাওয়ার সময় ওই জাহাজের সাথে সংঘর্ষ হয়ে ডুবে যায় কার্গো জাহাজ এমভি ফারদিন-১।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন’র মোংলা শাখা সহ-সাধারন সম্পাদক ও উদ্ধারকারী মালিক পক্ষের সদস্য মোঃ বাবুল হোসেন বলেন, মোংলা বন্দরে উদ্ধারকারী কোন জলযান না থাকায় ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী টিম আনা হয়েছে। তাদের সাথে যোগা যোগ করা এবং কার্গো উত্তলনের ব্যাপারে চুক্তি পত্র সম্পন্ন করতে সময় েকটি বেশী লেগেছে। তাই ডুবন্ত কার্গোটিতে পলি পরে ভরাট হয়ে যাওয়ায় কিছুটা সদস্যা দেখা দিয়েছে। তার পরেও চেস্টা চলছে।
ডুবন্ত কার্গো জাহাজের মুল মালিক মোঃ ফজলুর হক খোকন বলেন, আমি উক্ত জাহাজটি সাটার মালিক মানিককে মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে বেশ কিছু দিন আগে দেয়া হয়েছিল। তাকে দেয়ার এটাই চুক্তি ছিল, সে নিজে মাস্টার এবং জাহাজটি নিজেই পরিচালনা করবে। কিন্ত যে দিন কার্গোটি ডুবেছে তখন সে নিজে জাহাজে ছিলনা এবং অন্য একজন লস্কর দিয়ে পন্য বোঝাই জাহাজটি রাতে চালিয়ে আসার চেষ্টা করায় এমন দুর্ঘটনা ঘটে। জাহাজ ডুবির পর থেকে সাটার মালিক অত্নগোপানে রয়েছে, এছাড়া যে সকল নাবিকের মৃত হয়েছে তাদের পরিবারের খরচ দেয়া এবং উদ্ধারকৃত লাশের দাফন আমার পক্ষ থেকে সকল খরচ বহন করা হয়েছে। এখনও দুইজন নাবিক নিখোজ রয়েছে, তাদের অনু সন্ধানেরও চেস্টা অব্যাহত আছে বলে জানায় কার্গো মালিক ফজলুল হক।